সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুর কাদের মির্জা বলেছেন, ‘দলের মধ্যে ভালো লোক আছে কিন্তু অধিকাংশ সরকারকে অসহযোগিতা করে। এখন দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের ও আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিচার করতে হবে।’
শনিবার সকালে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপজেলা গেইটে নির্বচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, আমি নেত্রীকে বলব এদের বিচার করতে হবে। কোম্পনীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঁঝনানি চলছে। ফেনীতে নিজাম হাজারী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এখানে কিছু কিছু লোকের কাছে অস্ত্র পাঠিয়েছে। গত পরশু দিনও চট্রগ্রাম থেকে কবিরহাটে অস্ত্র এসেছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। নোয়াখালীর এসপিকে বলেছি কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি যদি কোম্পনীগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র চলে, যদি কোম্পনীগঞ্জের কোনো মায়ের বুক খালি হয়, আমার কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলা হয়, যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বা কারো ঘরে আগুন দেয়া হয় তবে সব দায়িত্ব ডিসি-এসপিকে নিতে হবে। জনতার কাতারে তাদের বিচার হবে। আমি কাউকে ভয় পাই না। ফেনীর একজন উপজেলা চেয়রম্যানকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবার বিচার পায়নি। যৌবন সব ক্ষয় করে স্বাধীনতা এনেছি এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। প্রতিটি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, কোম্পনীগঞ্জে ফেয়ার ইলেকশন হবে। কেউ বাধা দিলে তার পা ভেঙ্গে দেবেন। দায়িত্ব আমি নেব। কোনো কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হলে ওই কেন্দ্র বন্ধ করা হবে। আগামী নির্বাচনে ভোটের অধিকার এখান থেকে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিছু নেতা টাকা দিয়ে নমিনেশন নেয়। তারা ভোট চুরির জন্য শক্তি প্রয়োগ করে।
তিনি বলেন, যদি মনে করেন ভালো কাজ করেছি ভোট দিয়ে আসবেন। বাধা এলে ডিসি-এসপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। কিংবা ডিসি ১ নম্বর আসামি ও এসপি ২ নম্বর আসামি হবেন। ডিসি-এসপি মাশোয়ারা খায় বলে পক্ষপাতিত্ব করে।
তিনি আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য আজকে যখন অন্যায়ের কথা বলি, নোয়াখালীর ত্যাগী নেতাদের কথা বলি, আমি যখন নিরীহ নেতাকর্মীদের কথা বলি, কোম্পানীঞ্জের অসহায় ছেলে-মেয়েদের চাকুরির কথা বলি তখন আমাকে বলা হয় আমি নাকি উম্মাদ। ১৬ তারিখ নির্বাচনে আমি পাগল কিনা সেটা দেখা যাবে। যে আমাকে পাগল বলেছে উনার সর্ম্পকে সবাই জানে তিনি কী কী অনিয়ম করেছেন। নেতা মাহবুব হক হানিফ বলেন, আমার নাকি দায়িত্বশীলতার অভাব আছে। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভার্স্কয ভাঙ্গা হয়েছে তাহলে আপনি কীভবে দায়িত্বশীল হলেন?
তিনি মাহবুবল হক হানিফকে লক্ষ্য করে বলেন, কি করবেন? বহিষ্কার করবেন নাকি মেরে ফেলবেন। আমি সারাদেশের কথা বলি নাই, আমি নোয়াখালীর কথা বলেছি। আপনারা কেন নিজের গায়ের ওপরে নিচ্ছেন। আমি মনে করি সরকারের বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মৌলবাদী শক্তি সরকারকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এছাড়া ওই সমাবেশে সময় উপজেলা ও পৌর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply