জাতিসংঘের ফিলিস্তিন অধিকারের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেস্কা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আলবানিজের যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আক্রমণ আর সহ্য করা হবে না।
রুবিও এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেন, আমরা আমাদের মিত্রদের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে সবসময় থাকবো।
আলবানিজ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে রিপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। তিনি ইসরায়েলকে ‘আপারথেইড রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়েছেন এবং হামাসের সহিংসতাকে ‘অপ্রত্যাশিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও আন্তর্জাতিক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
আলবানিজ আমেরিকান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন। তার বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগও রয়েছে। তিনি এক সময় বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নাকি ‘ইহুদি লবি’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পরে অবশ্য তিনি এই মন্তব্য প্রত্যাহার করেন।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ভয়েসেসের প্রেসিডেন্ট অ্যান বেয়েফস্কি বলেন, অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়েছে। আলবানিজের সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও ইসরায়েলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার চেষ্টার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা সময়োপযোগী।
ইসরায়েল এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সা’আর বলেন, এখন জাতিসংঘের চোখ খোলার সময়।
ইসরায়েলের জাতিসংঘ দূত ড্যানি ড্যাননও বলেন, আলবানিজ জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
ইউএন ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক হিলেল নয়েউর বলেন, এটি সাহসী সিদ্ধান্ত। এর আগে কখনও কোনো জাতিসংঘ কর্মকর্তার ওপর এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply