1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ক্ষমতা পেলে দলের মত দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে জামায়াত: শফিকুর রহমান মাইলস্টোন ট্রাজেডি মাকিন নামের আরেক ছাত্রের মৃত্যু ফিলিস্তিনকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে যা বলল সৌদি আরব মাইলস্টোন ট্রাজেডি নিহত লামিয়াকে চোখের জলে বিদায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য দেশজুড়ে বিশেষ দোয়া বিমান বিধ্বস্তের সময় কত শিক্ষার্থী ছিল মাইলস্টোনে, জানালেন শিক্ষক শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ভারত ৭৭ , পাকিস্তান ৯৬, বাংলাদেশ ৯৪ বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি পরিচালক আহসান হাবীবকে প্রত্যাহার সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শেখ হাসিনার দুদকের ৬ মামলার বিচার হবে দুই আদালতে

শিশুর চোখের সাধারণ সমস্যারও গুরুত্ব দিন

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

শিশুরা যে কোনো রোগে খুব দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আক্রান্ত হতে পারে চোখের অসুখেও। তবে এ রোগগুলো খুব সহজেই সেরে যায়। শিশুর চোখে কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রথম ৬ মাসে নিয়মিত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া ভালো। শিশুর চোখ যেসব রোগে সাধারণত আক্রান্ত হয় তা হলো-

কনজাংটিভাইটিস : এটি শিশুদের চোখের সাধারণ রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ‘পিঙ্ক আই’ নামেও পরিচিত। খুবই বিরক্তিকর সমস্যা এটি। কারণ এ ক্ষেত্রে চোখের রঙ লাল হয়ে যায় এবং চোখ চুলকায়। এ ছাড়া চোখ দিয়ে ক্রমাগত পানি ঝরতে থাকে। চোখ থেকে হলুদ-সবুজাভ পদার্থ বের হতে থাকে। চোখের বাইরে কনজাংটিভায় জ্বালাপোড়া ও ফোলা ফোলা ভাবের জন্য এ সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ জন্য দায়ী করা হয় ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসকে। এটি ছোঁয়াচে। প্রতিকারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়।

অঞ্জলি : অঞ্জলি হলে চোখের পাতায় গুটির মতো দানা ওঠে। চোখের ঘর্মগ্রন্থি সংক্রমিত হলে এ সমস্যা হয়। এ রোগে শিশু থেকে বয়স্কÑ যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। স্টেফাইলো কক্কাস অরিয়াস নামে ব্যাক্টেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। এটা সাধারণত ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। তবে শিশুকে উষ্ণ গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে চোখ মুছে দেওয়া যেতে পারে।

চোখের অশ্রুগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যাওয়া : অশ্রুগ্রন্থি চোখের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ। কারণ চোখের পানি চোখ পরিষ্কার রাখে। কিছু শিশু এ গ্রন্থি বদ্ধ অবস্থা নিয়ে জন্ম দেয়। এটি মোটেও ভালো নয়। কারণ এ থেকে চোখের যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। চোখ সামান্য গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় দিয়ে মেসেজ করলে অশ্রুগ্রন্থিগুলো সক্রিয় থাকে ও চোখ পরিষ্কার করে নিজ থেকেই। যদি ১ বছর বয়সেও শিশুর এ সমস্যা থেকেই যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার বিকল্প নেই।

চঃড়ংরং : অনেক সময় দেখা যায়, শিশুর চোখের পাতা ঠিকভাবে খুলছে না। এর নাম চঃড়ংরং. এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে চোখের মনি সঠিক অবস্থান অর্থাৎ মাঝখানে না থেকে একপাশে থাকে। ফলে চোখ টেরা হয়ে যায়। এর নাম ঝঃৎধনরংসঁং, যা শিশুর ৪ মাস বয়স পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। বেশি দীর্ঘ হলে চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা : ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বয়সী শিশুরা যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু দেখতে পায় খুব ভালোভাবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলেই বুঝতে হবে, তার চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত এ সমস্যা ৩ মাস বয়সের মধ্যে কেটে যায়। শিশুর চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে যদি এ সময়ের পরও সমস্যা থেকে যায়, তবে চোখের ডাক্তারের কাছে শিশুকে নিয়ে যেতে হবে।

লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন

সাবেক বিভাগীয় প্রধান, চক্ষুরোগ বিভাগ

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com