1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন

টিউলিপের এখন দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত: দ্য টাইমস

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫

লন্ডনে আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট উপহার এবং বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক।

ইতিমধ্যে টিউলিপের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এই তদন্তের মধ্যেই সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব থেকে টিউলিপকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস

দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর তিনি আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না বলেও রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা ব্রিটিশ সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে।

টিউলিপকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয় এতে।

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই তাকে দায়িত্ব সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে। যদিও দুর্নীতির অভিযোগগুলো বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ।

এমন প্রেক্ষাপটে লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার হিসেবে তাকে বাছাই করাই ‘স্বচ্ছ ছিল না’ মন্তব্য করে বুধবার দ্য টাইমস লিখেছে, টিউলিপ এ পদের জন্য একমাত্র বিকল্প ছিলেন না।

তাকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেওয়ার সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, স্যার কিয়ার স্টারমার তার উত্তর লন্ডনের প্রতিবেশীদের রাজনৈতিক সুক্ষ্মদর্শিতা ও যোগ্যতা যাই হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের বসিয়ে রেকর্ড করেছেন।

যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবাখাতের ভবিষ্যত কিংবা কীভাবে লন্ডনকে শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এই এমপি কমই আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাই হোক যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে তার খালা, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের ব্যাপারে অনেকগুলো অভিযোগ সামনে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তা টিউলিপের আবাসন বা ‘উপহারের ফ্ল্যাট’ এবং এর সঙ্গে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসূত্র খুঁজবেন। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।

বাংলাদেশের দুর্নীতির সঙ্গে টিউলিপের সংশ্লিষ্টতা সামনে আসার আগে ২০২৪ সালের আগস্টে ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া পাওয়ার বিষয়টি লুকানো নিয়ে সংসদীয় তদন্তের মুখে পড়েছিলেন তিনি। সেই তদন্তে তিনি পার হয়ে যান। পরে এ নিয়ে প্রক্রিয়াগত প্রশাসনিক ভুল হয়েছিল বলে ক্ষমা চান।

পরবর্তীতে জানা যায়, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী কাছ থেকে ২০ লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাট উপহার পেয়ে সেখানে বসবাস করছেন এবং আগের ফ্ল্যাট থেকে ভাড়া নিচ্ছেন তিনি।

আরও প্রকাশ হয় যে, টিউলিপ তার বোন আজমিনার (৩৪) মালিকানাধীন ৬.৫ লাখ পাউন্ড দামের আরেকটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন। ওই ফ্ল্যাটও তাদের খালার এক উপদেষ্টার কাছ থেকে পাওয়া। এছাড়া উত্তর লন্ডনে তাদের মা ১৪ লাখ পাউন্ডের যে পারিবারিক বাড়িতে বাস করেন, তার মালিক বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ একটি শিল্পগোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার বাবা হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

তবে নিজের সম্পত্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার যোগসূত্রের বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছেন টিউলিপ।

এদিকে বাংলাদেশে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগের পর দুদকের অনুসন্ধান শুরুর বিষয়টিও উঠে এসেছে দ্য টাইমসের সম্পাদকীয়তে।

ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘টিউলিপ তার খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিরোধীদের ফাঁদেও পড়তে পারেন। সর্বোপরি তার স্বজনকে দিয়ে, শেখ হাসিনার সহিংস কর্মকাণ্ড, আত্মসাৎ, দুর্নীতি আর নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন দিয়ে সিটি মিনিস্টারকে মাপা উচিতও নয়। কিন্তু তিনি তার সমর্থকদের প্রভাব থেকেও দূরে থাকেননি। যে কারণে তিনি দেশ-বিদেশে নৈতিক তদন্তের মুখে পড়েছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com