প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গবেষণা করে আমাদের পাশের দেশ (ভারত) চাঁদে যায়। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? ভবিষ্যতে আমরাও চাঁদে যাব। ’
আজ শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের এই দিকটা (অ্যারোস্পেস) যেন আরও উন্নত হয় সেজন্য অ্যারোস্পেস বিষয়ে আমাদের আরও গবেষণা করা দরকার। আমাদের লোকবল দরকার, এ ক্ষেত্রে আরও গবেষণাও দরকার। সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের যারা অত্যন্ত মেধাবী তরুণ-তরুণী আছে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে আমরা লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখি আমাদের আশপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, তো আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমরাও চাঁদে যাব। ভবিষ্যতে সেভাবেই আমরা দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলব। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, আর এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক।’
গত ২৯ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশকে কিছু দিতে পারেনি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এদিক থেকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলতে কাজ করেছি। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বিমান যোগাযোগ ও পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পকে আধুনিক করে তুলতে আমরা আরও কয়েকটি বিমান কিনব। আমরা চাই অ্যাভিয়েশন খাত আরও উন্নত হোক। অতীতে অন্য কেউ (সরকার) দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে এত উন্নতি করতে পারেনি।’
এর আগে কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টার দিকে বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে যান শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং কথা বলেন। পরে টার্মিনালের করিডোর ঘুরে দেখেন।
বিমানবন্দরের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে থার্ড টার্মিনাল প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ পুরো অডিয়েন্স দাঁড়িয়ে সংগীতের সঙ্গে ঠোঁট মেলান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান সচিব মেকাম্মেল হোসেন প্রমুখ।পরে থার্ড টার্মিনাল, বিমান ও বিমানবন্দরের উন্নয়নের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। বেবিচকের কর্মকাণ্ডের ওপরও একটি ডকুমেন্টরি দেখানো হয়।
এ সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, জাপন ও জাইকার প্রতিনিধি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
Leave a Reply