মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, বৈশ্বিক সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রস্তাবটি ইসরাইল বা হামাস পুরোপুরি গ্রহণ করেনি।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ইতালিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক নেতারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন।
তবে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন সোজাসাপ্টা জবাব দেন, ‘আমি আশা হারাইনি।’
ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস এই সপ্তাহে প্রস্তাবটির প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে, যার লক্ষ্য স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দেয়া।
বাইডেনের ঘোষিত প্রস্তাবে এসব বিধান থাকলেও ইসরাইল শর্ত বাস্তবায়ন করবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হামাস।
এর আগে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি ইসরাযইল পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয় বলে যে দাবি করা হয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করেন।
সুলিভান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অবশিষ্ট ফাঁকগুলো দূর করতে ও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আমরা কিভাবে কাজ করব তা খুঁজে বের করা।’
ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরাইলি সামরিক চৌকিতে রকেট ও বিস্ফোরক ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহর রকেট হামলা বন্ধ করতে কিছু ইসরাইলি নেতা সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেয়ার পর এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীটি তার মিত্র হামাসের সমর্থনে যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় ইসরাইলকে চাপ দেয়ার চেষ্টা করার সময় এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ৮ মাসে ইসরাইলি হামলায় ৩৭ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুদ্ধের মধ্যে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন অচলাবস্থা থাকায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের হিসেব অনুযায়ী, জুলাইয়ের মধ্যে গাজার অন্তত ১০ লাখ মানুষ তীব্র খাবার সঙ্কটের মুখোমুখি হবে।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply