জুলাই আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে মো. রিয়াজ (২৩) হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং নুরু মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডের পাশাপাশি সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, আনিসুল হককে একই থানার একটি হত্যা মামলায় ও আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেত্রী রজনী আক্তার টুসী।
রিমান্ডকৃতদের মধ্যে রিয়াজ হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, নুরু মিয়া এবং সোহানুর রহমান আজাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার।
আদালত প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী গ্রেপ্তার দেখানো এবং রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে আসামি সোহানুর রহমান আজাদের পক্ষে আইনজীবী জহিরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।
আদালত সোহানুর রহমান আজাদ বাদে অপর তিন আসামির দুদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। সোহানুর রহমান আজাদের রিমান্ডের বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিদের মধ্যে আমির হোসেন আমুকে এক হত্যাচেষ্টা মামলায়, ইনু ও মেননকে একটি হত্যাচেষ্টা এবং দুটি হত্যা মামলায়, পলককে একটি হত্যাচেষ্টা এবং একটি হত্যা মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে দুটি হত্যা মামলায়, কামরুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, জাহাঙ্গীর আলম ও টুসীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলাগুলো যাত্রাবাড়ী থানার।
রিয়াজ হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সাইন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ আগস্ট বিকেলে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা. শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Leave a Reply