আসামি সংগীত অঙ্গনের অন্যতম প্রিয় কণ্ঠ, গায়ত্রী হাজারিকা আর নেই। দীর্ঘদিন কোলন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত শুক্রবার গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর।
প্রখ্যাত এই শিল্পীর মৃত্যুতে সংগীতজগত, সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্তের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পিঙ্কভিলা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নেমকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. হিতেশ বরুয়া জানান, তিন দিন আগে গায়ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তবে শুক্রবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তার মৃত্যু ঘটে।
তার মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সহকর্মী, ভক্ত ও বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক প্রকাশ করেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা আইমি বরুয়া এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “গায়ত্রী হাজারিকার গায়কী আসামের সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। তার প্রস্থান একটি অপূরণীয় ক্ষতি।”
সংগীত পরিচালক কাকোটি বলেন, “তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান এক শিল্পী। তার মৃত্যু আসামের সংগীতজগতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করল, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।”
প্রসঙ্গত, আসামেই গায়ত্রী হাজারিকার জন্ম ও শৈশব-কৈশোর কাটে। ঐতিহ্যবাহী আসামি সংগীতকে আধুনিক সুরের সঙ্গে মেলাতে তার দক্ষতা ছিল অনন্য। বিশেষ করে তার জনপ্রিয় গান ‘ফাগুন’ তাকে এনে দেয় ব্যাপক পরিচিতি। কণ্ঠের মাধুর্য, আবেগে ভরপুর গায়কী এবং মঞ্চে সাবলীল উপস্থিতির জন্য শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি।
Leave a Reply