সেগু গিগাসির অন্যবদ্য হ্যাটট্রিকে দারুণ আশা জাগিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের বড় জয়ই এগিয়ে রাখল বার্সেলোনাকে। আর সেটি পুঁজি করেই আসরের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে হেরে যায় বার্সা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকেট কেটেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল বার্সা।
অবশ্য এই হারে বার্সা একটি ছেদ পড়ল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় থামল তারা। যেখানে ২০২৫ সালে প্রথম হারের তেতো স্বাদও পেল দলটি।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটে বক্সে পাসকেল গ্রসকে অহেতুক ফাউল করে স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন গিগাসি।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র একটি শট নিতে পারে বার্সেলোনা। যেখানে এই সময়ে ডর্টমুন্ডের ১০টি শটের সাতটি লক্ষ্যে ছিল।
বিরতির পর শুরুতে চমৎকার ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্ট্যান্সনি। করিম আদেইয়েমির শট পা দিয়ে ঠেকানোর পর গ্রসের শট ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। পরক্ষণেই অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডর্টমুন্ড। ৪৯তম মিনিটে কর্নারে রামির হেড পাসে কাছ থেকে হেডেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গিগাসি।
বার্সা চার মিনিট পরই আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায়। ডান দিক থেকে ফের্মিন লোপেসের পাস ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার রামি। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৫-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
খেলার ৭৬তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গিগাসি। বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কাছ থেকে শটে গোলটি করেন গিনির ফরোয়ার্ড।
দুই মিনিট পর ইউলিয়ান ব্রান্ডট বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি।
এদিকে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে তারা।
Leave a Reply