1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩০ অপরাহ্ন

আ. লীগ নেতা, পুলিশ, আমলাসহ ৪৬৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

দীর্ঘদিন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের পর দলটির নেতাকর্মীরা চলে যান আত্মগোপনে। অথচ ১৬টি বছর তাদের অত্যাচারে মানুষ ছিল দিশেহারা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুম-খুন অপহরণ, নির্যাতন মিথ্যা মামলাসহ সব ধরনের অপকর্মে জড়িত ছিল হাসিনা সরকার। তার দলের নেতারা ছিলেন অপকর্মে অপ্রতিরোধ্য। এদের কেউ কেউ বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন; স্বাদ নিয়েছেন মন্ত্রিত্বেরও।

মূলত আওয়ামী অপকর্মের সহযোগী ছিল স্বয়ং পুলিশ ও প্রশাসন যন্ত্র। যার মধ্যে চিহ্নিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তা। কোটাবিরোধী আন্দোলনেও নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গেও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এসব কর্মকর্তার। এখন পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা, আমলাসহ ৪৬৭ জনের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় বিমানবন্দর ও সীমান্তে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে তাদের তালিকা করা হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ আমলে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর তালিকাটি চূড়ান্ত করেছে। তালিকার মধ্যে ৪৬৭ জন যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারেন সেই জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশের সবকটি বিমানবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় ‘বিশেষ নোটিশ’ পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, তালিকার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, আমলা ও আওয়ামী লীগের নেতা রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ বিপুল পরিমাণ অর্থও খরচ করেছেন। তাদের বিষয়ে ইন্টারপোলকে তথ্য দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, তালিকাটি দেশের সবকটি বিমানবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তালিকার মধ্যে যারা দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের যেতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। তালিকাভুক্তদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুন এবং রাতের বেলায় ভোট নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেসবুকে নানা গুঞ্জন

সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানান, কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দমন-পীড়ন চালায়। গুলিতে শিক্ষার্থী ও নিরীহ লোকজন, পুলিশ, আনসারসহ হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা এই প্রথম। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তিনি পালিয়ে যান ভারতে। এমনকি পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও চলে যান ‘অনেকটা আত্মগোপনে’।

পুলিশ সদর দপ্তরসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলপ্রয়োগ করেছে- তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ওইসব কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও জনতাকে হত্যার ঘটনায় শতাধিক হত্যা মামলায় অন্তত দেড়শ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) থেকে শুরু করে ডিএমপির কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার, উপ-কমিশনার, সহকারী কমিশনার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবলদেরও আসামি করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে প্রথম থেকেই বিতর্কিত ভূমিকায় ছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আন্দোলনকারীদের হয়রানি, সমন্বয়কদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত ওইসব কর্মকর্তা লাপাত্তা। তাদের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। খোদ পুলিশের মধ্যেই আছে নানা আলোচনা।

রাতের ভোটের কুশীলবদের দিকে বেশি নজর

২০১৮ সালে রাতের ভোট করার জন্য জেলার ডিসি ও এসপিসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে। গভীর রাতে প্রায় প্রতিটি আসনেই ভোট শেষ করেছে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাব-ইন্সপেক্টর পর্যন্ত জড়িত ছিলেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসক ও থানার নির্বাহী কর্মকর্তারাও। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে কর্মকর্তারা প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। এমনকি কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট কাস্ট পর্যন্ত হয়েছিল।

নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে পাত্তাই দেয়নি সরকার। উল্টো কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া থেকে শুরু করে পুরস্কৃত পর্যন্ত করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে আগের সরকারের নানা অবিচার সামনে নিয়ে আসছে।

গুমের শিকার ২৭ শতাংশ এখনো নিখোঁজ

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রায় প্রতিনিয়ত গুম, খুন, অপহরণ, নির্যাতন, নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা গুম ও খুনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত আছে। গত বছরের ২৭ আগস্ট বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনার তদন্ত করেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর কমিশন ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গুম হওয়া এবং ফিরে আসা নারী-পুরুষের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র‌্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশনে ১৬৭৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। তারমধ্যে কমিশন ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে। ৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী ফিরে এসেছে। বাকি ২৭ শতাংশ এখনো নিখোঁজ আছে। তারা আদৌ বেঁচে আছে কি না জানা নেই। বিভিন্ন সংস্থা যেসব ব্যক্তিকে তুলে নিয়েছিল, তাদের বেশিরভাগকেই রাখা হতো ডিজিএফআইয়ের ‘আয়নাঘরে’। বছরের পর বছর ধরে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের বন্দি করে অকথ্য নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হতো। অনেককে গুলি, ক্রসফায়ার, রেললাইনের ওপর রেখে, নদীতে ফেলে কিংবা হাইওয়েতে দ্রুতগতির গাড়ির সামনে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খুন ও গুমের ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাব, ডিজিএফআই, সিটিটিসি, জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।

ছাত্রলীগ অনুগতদের নিয়েও নির্বাচন

পুলিশ সূত্র জানায়, রাতের  ভোট আয়োজনে ডিসি এবং এসপিদের পাশাপাশি কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামও উঠে এসেছে। ওই সময়ে গোয়েন্দা সংস্থা দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা ডিটাচমেন্টের দায়িত্বে যেসব কর্মকর্তা ছিলেন, তাদেরও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে।

পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, নির্বাচনকালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নির্বাচনী কারচুপিতে ভূমিকা রাখে। নির্বাচনের আগে এনএসআই কর্মকর্তাদের সরিয়ে রেখে আওয়ামীপন্থি জুনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিয়মিত সদস্যদের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ না করে ছাত্রলীগের অনুগত কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচনের তিন মাস আগেই নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বিভাগীয় কার্যালয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের গোপন প্রতিবেদন

পুলিশ সূত্র জানায়, ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও যেসব আমলা লেজুড়বৃত্তি করার পাশাপাশি কোটাবিরোধী আন্দোলন বানচাল করতে দমন-পীড়ন চালিয়েছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের একটি লম্বা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পুলিশ সদর দপ্তর পাঠানো হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা তালিকাটি আরও অনুসন্ধান করে আরেকটি তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে। ওই তালিকার মধ্যে ৪৬৭ জনের নাম এসবিসহ আরও দুটি গোয়েন্দা সংস্থায় পাঠানো হয়।

এই প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, তালিকাটি দেশের সবকটি বিমানবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। তালিকার মধ্যে যারা দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবে তাদের যেতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতেই হবে। তবে অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্ত কর্মকর্তারা ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুন এবং রাতের বেলায় ভোট নেওয়ার অভিযোগ আছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারাও নানা অপকর্মে সম্পৃক্ত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তালিকার মধ্যে অন্তত একশ জনের মতো দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সবার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এসবির এক কর্মকর্তাও একই তথ্য দিয়ে বলেছেন, তালিকাভুক্তদের বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। বিমানবন্দর ও সীমান্তে নজরদারি করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞায় যাদের নাম

সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সিআইডির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, সাবেক আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি, মীর রেজাউল আলম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, আইজিপি মো. আব্দুল বাতেন, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, সাবেক ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান, সাবেক ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক, সাবেক ডিআইজি সরদার রকিবুল ইসলাম, সাবেক ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক।

এছাড়া ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সুপার ছিলেন ঢাকা জেলায় শাহ মিজান শাফিউর রহমান, গাজীপুরে শামসুন্নাহার, নারায়ণগঞ্জে হারুন অর রশীদ, নরসিংদীতে মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মানিকগঞ্জে রিফাত রহমান শামীম, ফরিদপুরে জাকির হোসেন খান, শরীয়তপুরে আবদুল মোমেন, মাদারীপুরে সুব্রত কুমার হালদার, গোপালগঞ্জে সাইদুর রহমান খান, রাজবাড়ীতে আসমা সিদ্দিকা মিলি, কিশোরগঞ্জে মাশরুকুর রহমান খালেদ, টাঙ্গাইলে সঞ্জিত কুমার রায়সহ ওই সময়কার ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, সবকটি রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশ কমিশনার, আওয়ামী লীগের সাবেক ১৮ মন্ত্রী, ১৩ প্রতিমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী, স্পিকার, চিপ হুইপ-হুইপসহ ২২৫ সাবেক এমপির নাম রয়েছে তালিকায়। তারমধ্যে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, জাহিদ মালেক, আসাদুজ্জামান খান, নিজাম উদ্দিন হাজারী, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রমুখ।

তাছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের পরিচালক মাহমুদুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সদস্য মঈন উল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ কে এম মামুনুর রশিদসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা জেলার ৬৭ জন জেলা প্রশাসক রয়েছেন তালিকায়।

তালিকার মধ্যে দেশত্যাগ অন্তত ১০০ জনের

পুলিশ সদর দপ্তর তথ্য পেয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছেন। পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতা ও আমলরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে গেছেন। তাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান  চৌধুরী নওফেল, আশরাফ আলী খান খসরু, আব্দুর রহমান, শেখ ফজলুল করিম  সেলিম, মুজিবুল হক মুজিব, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এ কে এম এ আবুল  মোমেন, শাহরিয়ার আলম, মোতাহার হোসেন, জাহিদ আহসান রাসেল, কাজী কেরামত আলী, মির্জা আজম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, শেখ সারহা নাসের তন্ময়, ছোট মনির, অনুপম শাহজাহান জয়সহ ১০০’র মতো পুলিশ ও আমলা ভারত, আমেরিকা, লন্ডন, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে চলে গেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com