অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। চলছে বেদী সাজানোর প্রস্তুতি। রং-তুলির আঁচড়ে শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন একুশের আবহ।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, অমর একুশে উদযাপন পরিষদ ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেত্রীবৃন্দ শ্রদ্ধা জানাবেন। এর সর্বসাধরণের শ্রদ্ধার জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামবে সাধারণ মানুষের। তাই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। দিবসটিকে ঘিরে জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও, শহীদ মিনার এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার কারণে সকাল থেকে সাধারণ মানুষকে শহীদ মিনারের মূল বেদীর আশপাশে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিন-চার স্তরে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে ৫টায়, পরে রাত ৮টা থেকে ডিএমপির অফিসার ফোর্স নিয়োজিত থাকবেন। আগামীকাল বেলা ২টা পর্যন্ত আমাদের ফোর্স এবং অফিসাররা পুরো এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো ‘শঙ্কা’ দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে চেকিং এবং ম্যানুয়ালি দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। কোনোরূপ দাহ্য পদার্থ বা বিস্ফোরক নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রচুর লোক সমাগম হয়, সেজন্য সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সাথে সাথে শহীদ মিনারের চতুর্পাশে এক কিলোমিটারের ভেতরে বিভিন্ন মোবাইল টিম সতর্ক অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
শহীদ মিনারে ব্যাপক জমায়েতের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার সাজ্জাত বলেন, এ জন্যই আমি ভিভিআইপি, ভিআইপিদের বিদায়ের পরে ঢাকাবাসীকে আসার অনুরোধ করতেছি। তার জন্য আমি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা মনে করতেছি ১২টা ৪০ থেকে ১২টা ৪৫, এই সময়ের ভেতরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসসহ অন্যান্য ভিআইপিদের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। তারপর সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এ জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করতেছি এ সময়টা যেন একটু মেনে আসেন। তাহলে ওনাদেরও একটু কষ্ট কম হবে। গ্যাদারিংটাও কম হবে। সবদিক দিয়ে আমরা এই ইভেন্টের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হব।ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো এক সময়ে সাধারণ মানুষের সমাগম এবং প্রবেশ অনেক ভিড় হয়। এই ভিড়ের মধ্যে যেন কোনো দুর্ঘটনা না হয়, আমরা তার জন্য সচেতন থাকব। কিন্তু পাশাপাশি যারা আসবেন, তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ ওনারা যেন ওনাদের নিজের নিরাপত্তা, মোবাইল, মানিব্যাগের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
Leave a Reply