1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন

ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠক?

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলন এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনেই দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সদস্য দেশ হিসেবে এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এ ছাড়া সম্মেলনের সাইড লাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে মোদির একটি বৈঠকও হতে পারে। বৈঠকের বিষয়টি কোন সূত্র নিশ্চিত না করলেও প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংককে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি আছে। কোনো কিছু চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত।

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এপ্রিলে ব্যাংককে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৪ এপ্রিল এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনে বিমসটেকের আগামী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেবে বাংলাদেশ। থাই প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূস বলেন, তিনি সংগঠনের পরিকল্পিত শীর্ষ সম্মেলনের সময় বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে বিমসটেক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হতে পারে।

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে প্রায় একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেও মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি ড. ইউনূসের। তখন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, মূলত এ দুই নেতা একই সময়ে নিউইয়র্কে উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের সাক্ষাৎ হবে না।

৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল ঘটার পর ছয় মাস কেটে গেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কেও দেখা গেছে অবনতি। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালিয়ে ভারতে অবস্থান ও সেখান থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতি প্রদানও দুই দেশের সম্পর্ক শীতল হওয়ার কারণ। গত ছয় মাসে দুই দেশের হাইকমিশনারকে একাধিকবার তলবের ঘটনা ঘটেছে। কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে ঢাকা। কিন্তু নয়াদিল্লি এখনও সেই পত্রের উত্তর দেয়নি। গত সপ্তাহে হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসায় ভাঙচুর চালায় ছাত্র-জনতা। ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে হাসিনাকে থামানোর বার্তা দেওয়া হয়। দিল্লির বাংলাদেশি দূতকেও পাল্টা তলব করে ভারত।

এমন আবহে ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে সেটাই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের দাবি করলেও দিল্লি তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না। যদি মোদি-ইউনূস সাক্ষাৎ হয়, তবে এ বিষয়ে আলোচনা এড়ানো অসম্ভব হবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাম্প্রতিককালে স্বাভাবিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছে দুই দেশই। ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকেও সম্পর্ক স¦াভাবিক রাখার বার্তা থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের তরফে ইতোমধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের তরফেও বলা হয়েছে, সাম্যের ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে ঢাকা। আরও বলা হয়েছে, শুধু একটি ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আটকে থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com