1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম : ঢাবির সেই শিক্ষকের পদাবনতি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ, ২০১৯ সালের নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শবনম জাহানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের পদ থেকে নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ অনিয়ম করে ছাড় পায় না, গতকাল সিন্ডিকেট সেটাই প্রমাণ করল। পদাবনতি দিয়ে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’

শবনম জাহানকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়নি জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘প্রথম যে কমিটি ছিল, সেটা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এখন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশের ভিত্তিতে তার পদাবনতি করে শাস্তি দিয়েছে সিন্ডিকেট।’

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি শুধু বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( ডাকসু) নির্বাচনে ‘কোনো জালিয়াতি হয়নি’।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতবছর ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। সেদিন সকালে ভোট শুরুর আগেই কুয়েত-মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়, যেগুলোতে ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা ছিল।

ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছর ২৮ মার্চ শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। পরে ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।

এক বছরের বেশি সময় পর ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি দেওয়া হলো।

ওই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা হলের আরও দুজন আবাসিক শিক্ষককেও অনিয়মের জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে তাদের কোনো শাস্তি না দিয়ে ‘সতর্ক’ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com