গাজায় অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দি চুক্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল বুধবার এই চুক্তিকে স্বাগত জানান তিনি।ভয়েস অব আমেরিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি, মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের এই চুক্তি সম্ভব করার লক্ষ্যে তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি। একটি কূটনৈতিক নিস্পত্তি খুঁজে পেতে তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি এই অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের প্রতিশ্রুতিকে বহাল রাখতে এবং এটা নিশ্চিত করতে যে এই চুক্তি যেন সম্পুর্ণ ভাবে বাস্তবায়িত হয়।’
গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে এই সংঘাতে যে মারাত্মক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার প্রশমন করা। জাতিসংঘ এই চুক্তি বাস্তবায়নকে সমর্থন দিতে এবং অসংখ্য ফিলিস্তিনি যারা দূর্ভোগের শিকার তাদের জন্য মানবিক ত্রাণ বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা তাই-ই করবো যা মানবিকভাবে সম্ভব এটা জেনেও যে আমরা গুরুতর চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবো। আমরা আশা করি আমাদের এই প্রচেষ্টার পাশাপাশি অন্যান্য মানবিক সংগঠন, বেসরকারি ক্ষেত্র ও দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগও এ ধরণের প্রচেষ্টা চালাবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে এই মধ্যস্ততায় নেতৃত্বদানকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-সানি দোহায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ হচ্ছে ৪২ দিন। এই সময়ের মধ্যে, হামাস ৩৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিবে, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়লে সন্ত্রাসী হামলার সময় থেকে হামাসের হাতে বন্দি হয়ে রয়েছে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলও বহু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিবে।’
গত বছরের ৬ অক্টোবর সংঘাত শুরুর সময় থেকেই জাতিসংঘের প্রধান অস্ত্রবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির দাবি করে আসছেন। এই সংঘাত গাজার বিশ লাখের বেশি অধিবাসীর জন্য মারাত্মক মানবিক সংকট তৈরি করেছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও হাজার হাজার লোক আহত হয়েছে।
Leave a Reply