জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে।
এরই মধ্যে টিউলিপের জায়গায় নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা করছে তার দল। যদিও এর আগে টিউলিপের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।
এদিকে তাকে বরখাস্ত করতে স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ।
টিউলিপ বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্ত করছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পর্যবেক্ষক স্যার লরি ম্যাগনাস।
অভিযোগ আছে, আব্দুল মোতালিফ নামে একজন ডেভেলপার টিউলিপকে উপহার হিসেবে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। ওই ফ্ল্যাট ব্যবহার করেছেন টিউলিপ। কিন্তু এ তথ্য গোপন ছিল।
বিষয়টি সামনে আসায় জানা যায়, আব্দুল মোতালিফ হলেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্র। তার সঙ্গে মোতালিফের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে।
এসব অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার নিরপেক্ষ উপদেষ্টা বা মিনিস্টারিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে গিয়ে গত সপ্তাহের সোমবার ধরা দেন টিউলিপ। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। এক চিঠিতে স্যার লরিকে বলা হয়, তদন্ত উন্মুক্ত। তিনি কোনো অন্যায় করেননি।
কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এক আবেদনে স্যার কিয়ের স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মিস সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে।
ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড বলেছেন, টিউলিপের পক্ষে তার দায়িত্ব পালন এখন অসম্ভব। টিউলিপ যেহেতু দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রী এবং তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাকে ঘিরে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটের অধীনে তার দায়িত্ব পালন বাস্তবিকই অসম্ভব। এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে এই জট থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন, টিউলিপের স্যার লরির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন যথার্থ।
টিউলিপের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন স্টারমার।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে টিউলিপ সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কিলি।
Leave a Reply