1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন

র‌্যাব সদর দপ্তরে সাহেদ, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর থেকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী মাইক্রোবাস সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিয়ে চালানো হতে পারে অভিযান।

এর আগে সাতক্ষীরা থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সাহেদকে। মঙ্গলবার সকালে ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে সাহেদকে নিয়ে রাওনা দেয় র‌্যাবের হেলিকপ্টার। এর আগে, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হন তিনি।

র‌্যাব জানিয়েছে, ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন ধুরন্ধর সাহেদ। চেহারা পরিবর্তনের জন্য চুলে রঙ করেছিলেন তিনি। কেটে ফেলেছিলেন গোঁফ। নৌকায় করে নদী পার হয়ে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। র‌্যাবের বিশেষ টিম পৌঁছানোর পর পালানোরও চেষ্টা করেন। র‌্যাবের টিম দেখে নৌকার মাঝি সাঁতরে পালিয়ে যান।

কিন্তু মোটা হওয়ায় আর দৌড়ে কিংবা সাঁতরে পালাতে পারেননি প্রতারক সাহেদ। এ সময় তার পরনে ছিল কালো রঙের বোরকা। আটকের পর দেখা গেছে, সাহেদের গায়ের বিভিন্ন জায়গায় লেগে ছিল কাদা। কোমরে বাঁধা ছিল পিস্তল।

রিজেন্ট হাসপাতালে র‌্যাবের অভিযানের পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন কখনো রাজনীতিবিদ, কখনো ব্যবসায়ী কিংবা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সাহেদ। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আত্মসমর্পণের আহ্বানে সাড়া দেননি। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাহেদের পিতা। কিন্তু সাহেদ আর প্রকাশ্যে আসেননি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, সাহেদ আত্মসমর্পণ না করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। সেজন্য সবোর্চ্চ সচেষ্ট আছেন তারা। মঙ্গলবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদ দেশ ছাড়ার চেষ্টা করতে পারেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে তৎপর আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সেদিন রাতেই গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মাসুদ পারভেজকে। তারপর থেকে যেকোনো সময় সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এমন গুঞ্জন জোরালো হতে থাকে। সাহেদকে গ্রেপ্তারে বিশেষ তৎপর ছিল র‌্যাবের ইন্টেলিজেন্স।

করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই মামলা করে র‌্যাব। উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।

এর আগে গত ৬ জুলাই সোমবার র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালের দুটো শাখায় (উত্তরা ও মিরপুর) অভিযান চালায়। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শাখা দুটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৭ জুলাই বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‌্যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com