ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলের চলমান বিমান হামলার কারণেই গাজায় ছয় পণবন্দী মারা গেছে। ইসরাইল গাজা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে দাবি করছে যে হামাস তাদের হত্যা করেছে।
হামাস নেতা ইজ্জাত আল-রিশক রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যারা প্রতিদিন আমেরিকান অস্ত্র আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে তারা হলো ইসরাইলি উপনিবেশকারী। গাজায় পাওয়া পণবন্দীদের আমরা হত্যা করিনি। তারা নিহত হয়েছে জায়নবাদীদের বিরামহীন বোমা হামলায়।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আরো সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি ইসরাইলি পণবন্দীদের জীবন নিয়ে সত্যিই যত্নবান হন, তবে তার উচিত এই শত্রুদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সমর্থন দেয়া বন্ধ করা এবং অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, খোদ বাইডেনের চেয়ে হামাস এসব পণবন্দীর জীবন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। তিনি যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাস ও জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উভয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এর আগে রোববার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায, তারা গাজা থেকে ছয় পণবন্দীর লাশ উদ্ধার করেছে। এই উদ্ধারের আগে ইসরাইল বলে আসছিল যে গাজায় তাদের ১০৭ জন পণবন্দী রয়েছে। তবে তাদের কেউ কেউ মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন পণবন্দী নিহত হয়েছে।
গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রায় ৪০,৭০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইলি হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। সেখানে খাদ্য, পানি ও ওষুধের ভয়াবহ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
Leave a Reply