গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিজয় দাবি করে চলেছে ইসরাইলি বাহিনী। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও ছেড়ে দিচ্ছে না। তারা নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে বেশ বিপর্যয়কর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনীকে।
ইসরাইল দাবি করছে, তারা হামাসের ১৭ হাজার যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। কিন্তু হামাস বলছে, তাদের শক্তি এখনো অটুট আছে। হামাসের শক্তি যে ভালোমতোই আছে, তা তাদের অব্যাহত হামলার মধ্যেই ফুটে ওঠেছে। তারা ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ হয়ে হঠাৎ করে টানেল থেকে বের হয় একে-৪৭ কিংবা মর্টার বা ১০৭ এমএম রকেট ও আরপিজি নিয়ে। তারপর হামলা চালিয়ে হাওয়া হয়ে যায়।
তাছাড়া হামাস যোদ্ধারা বিভিন্ন ভবনকে বুবি-ট্র্যাপ হিসেবে ব্যবহার করছে, ইসরাইলি সাজোয়া যানগুলোকে টার্গেট করছে। গত কয়েক দিনে অন্তত ১২ সৈন্যকে হত্যা করেছে। একটি ন্যামার এপিসি গাড়িকে ধ্বংস করে এক দিনে আট ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করেছে তারা।
নেটজারিম করিডোর এবং ফিলাডেলফি রুটে ইসরাইলি বাহিনীর উপস্থিতিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে হামাস। ইরানপন্থী আল মায়াদিন মিডিয়ার মতে, সেখানে হামাস গুপ্তহামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সৈন্যদের টার্গেট করে। এসব হামলা সফলও হচ্ছে।
তাছাড়া হামাস এখন গাজার অন্যান্য গ্রুপের সাথে আরো সমন্বয় করে হামলা চালাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইসলামিক জিহাদ রাফা এলাকায় ঈদের দিন ইসরাইলি একটি টহল দলের ওপর হামলা চালায়।
ন্যাশনাল রেসিস্ট্যান্স ব্রিগেড বা ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের মার্টার ওমর আল-কাসিম ফোর্স বাহিনীও বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে হামাস দাবি করেছে, ন্যামার এপিসির ওপর তারা হামলা চালিয়েছিল আল-ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। তারা একে জটিল ও অত্যাধুনিক হামলা হিসেবে দাবি করছে। এটি তাদের হামলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
তাছাড়া তারা রিক্রুটও করে যাচ্ছে। এসব লোককে নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার সক্ষমতা সৃষ্টি করছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যেসব এলাকা থেকে সরে এসেছে, সেখানে হামাস নতুন করে আত্মপ্রকাশ করছে। হামাস যদি এমনভাবে লড়াই করতে থাকে, তবে তাদেরকে হারানো খুবই কঠিন হবে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply