সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ। গত কয়েকদিন ধরে একই জায়গায় নোঙর করে আছে জাহাজগুলো। এর ফলে দ্বীপের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালেও সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখতে পায় মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে আছে। জাহাজগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে জাহাজগুলো ভারি গোলাবারুদ এবং মর্টার শেল ছোঁড়া হচ্ছে বলে শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ কারণে আতঙ্কিত দ্বীপের বাসিন্দারা।
দ্বীপের বাসিন্দা জুবাইর বলেন, ‘এত কাছ থেকে এর আগে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ কখনো দেখা যায়নি। আমাদের জলসীমায় এই জাহাজগুলো অবস্থান করছে এবং আরও কয়েকদিন জাহাজ নিয়মিত চলাচল করে। এই জাহাজগুলো থেকে ওরা মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করে। গুলির আওয়াজ শোনা যায় এপার থেকে। আমরা এ কারণে অনেক ভয় পাচ্ছি।’
সেন্টমার্টিন জেটিঘাটের পাশে বাজারের দোকানদার নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের জলসীমায় জাহাজের অবস্থান। আমি কিছুদিন আগে টেকনাফ থেকে আসার পথেও এরকম কিছু দেখিনি। আমরা অনেক বেশি আতঙ্কে আছি। ভয় পাচ্ছি কখন কি হয়।’
দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মানুষ যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে। আমরা গোলাগুলির শব্দ প্রতিদিন শুনতে পাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই নৌযান চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা করা হোক। কালকে চারটি ট্রলারে করে যাতায়াত হয়েছে অনেক ঝুঁকি নিয়ে। আমরা এরকম চলাচল চাই না।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে কি না, আমরা জানি না। এগুলো নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ড বলতে পারবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজের ব্যাপারে। দ্বীপের লোকজন আতঙ্কে আছে।’
Leave a Reply