গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধে আন্দোলন হামাসের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি করতে আরেকটু ছাড়ে রাজি হয়েছে ইসরাইল। তবে হামাসের প্রধান দুটি দাবি তারা মানতে এখনো রাজি হয়নি। নতুন এক খবরে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে থাকা ৪০ জন ইসরাইলি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগারে আটক ৭০০-৮০০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। প্রস্তাবটি হামাসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হামাস তিন দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে জবাব দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০-৫০।
প্যারিস শান্তিচুক্তির কাঠামো অনুযায়ী হামাসের হাতে আটক ৪০ পণবন্দীর (তারা হবে নারী, শিশু, অসুস্থ ও বয়স্ক) মুক্তির বিনিময়ে ৪০০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দীকে মুক্তির কথা বলা হয়েছিল। ইসরাইল এখন ওই সংখ্যার দ্বিগুণ বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে বলে চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০০ জন থাকবে ‘খুনি’।
এসব ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। তবে আরেকটি হিব্রু মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরাইল তাদের ৪০ বন্দীর বিনিময়ে ৭০০ ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।
টিভির ওই খবরে আরো বলা হয়েছে, আলোচনার এই পর্যায়ে ইসরাইল প্রথমবারের মতো উত্তর গাজা থেকে সরে যাওয়া লোকদেরকে শর্তসাপেক্ষে তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে দিতে রাজি হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরুষদের তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেয়া হবে না।
তবে হামাসের প্রধান দুটি দাবি এখনো মানতে রাজি নয় ইসরাইল। এই দুটি দাবি হলো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার। তারা আবারো বলছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা আবারো হামলা শুরু করবে। চুক্তিটির প্রথম দফায় ছয় সপ্তাহের অস্ত্রবিরতির কথা বলা হয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আলোচনা এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে কাতারে অবস্থানরত ইসরাইলি দলকে ‘ম্যান্ডেট’ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল ও জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply