মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যকার ব্যবধান কমে আসছে। তিনি একটি কঠিন প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রস্তাবটি ইসরাইল সরকার বিবেচনা করবে। এখন হামাস বিবেচনা করে কিনা তা দেখার বিষয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ব্যাপক তৎপরতার মধ্যে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া আজ শুক্রবার কাতার যাচ্ছেন। তিনি সেখানে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন।
কায়রোতে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরির সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিনকেন বলেন, ‘ব্যবধান কমে আসছে। আমরা দোহায় একটি চুক্তির জন্য চাপ প্রদান অব্যাহত রেখেছি।’ তিনি সৌদি আরব সফর করে কায়রো যান। এরপর তিনি ইসরাইলে যাচ্ছেন।
ব্লিনকেন অবশ্য সতর্ক করে বলেন, ‘এখনো অনেক জটিলতা আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধবিরতি হওয়া সম্ভব।’
শুক্রবারের আলোচনা কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামালও অংশ নেবেন। ব্লিনকেন আশা করছেন, এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে গাজায় এখনো আটক ১৩৪ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জনের মুক্তি নিশ্চিত হতে পারে। তবে তিনি প্রস্তাবটির বিস্তারিত বিবরণ দেননি।
এর আগে তিনি আল আরাবিয়া ইংলিশকে এক ভিডিও সাক্ষাতকার দেন। তাতে তিনি বলেন যে দোহায় উপস্থিত ইসরাইলি দলকে চুক্তিতে সম্মত হওয়ার কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে।
তবে তিনি যখন এমন মন্তব্য করেছেন, তখন ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা শুক্রবার বৈঠকে বসে দোহার আলোচনার বিষয়গুলো বিবেচনা করবে বলে জানা গেছে।
ব্লিনকেন বলেন, ‘একটি খুবই কঠিন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এখন আমরা অপেক্ষা করছি, হামাস তা গ্রহণ করে কিনা।’
তিনি বলেন, যুদ্ধের বিরতি তাৎক্ষণিকভাবে হতে পারে, যদি তারা অস্ত্র নামিয়ে রাখে এবং পণবন্দীদের মুক্তি দেয়।
তিনি বলেন, সৌদি আরব সফরের সময় তিনি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাত করে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি সমঝোতায় উপনীত হতে পারি। এটি দুই জাতি এবং সামগ্রিকভাবে পুরো অঞ্চলের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ হতে পারে।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply