গাজায় প্রথমবারের মতো মার্কিন সামরিক বিমান থেকে খাদ্য ও সরবরাহ ফেলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আগামী দিনে মার্কিন বিমান থেকে সাহায্য ফেলা হবে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্ষের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পণ্যবাহী ট্রাকের বহর থেকে ত্রাণ সামগ্রী নেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনার একদিন পরই এই ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে ঠিক কবে তা শুরু হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হয়নি। আশা করা হচ্ছে, এয়ারড্রপগুলো চলতি সপ্তাহান্তে শুরু হতে পারে।
এদিকে জর্ডান ও ফ্রান্সসহ অন্য দেশগুলো ইতিমধ্যে গাজায় বিমানযোগে সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গাজায় পাঠানো সাহায্যের পরিমাণ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের আরও কিছু করতে হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা করবে।’
এ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, সহায়তা ফেলা ‘একটি টেকসই প্রচেষ্টা’ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, প্রথম এয়ারড্রপে খুব সম্ভবত সামরিক এমআরই বা ‘প্রস্তুতকৃত খাবার’ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি একমাত্র এবং শেষ পদক্ষেপ হবে না। গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা পাঠানোর জন্যে একটি সামুদ্রিক করিডোরের সম্ভাবনাও দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘গাজার সমগ্র মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটে রয়েছে। এখানে মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ লাখ।’ এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ মানুষ তাদের খাদ্যের যোগান ও ক্ষুধা মোকাবিলার সক্ষমতার শেষ পর্যায়ে। তারা বিপর্যয়কর ক্ষুধা (আইপিসি ফেজ ৫) ও অনাহারের মুখোমুখি।
Leave a Reply