ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী যদি গাজার সঙ্ঘবদ্ধ সামরিক শক্তি হিসেবে হামাসকে গুঁড়িয়েও দেয়, তবুও গাজার এই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন ‘গেরিলা গ্রুপ’ হিসেবে টিকে থাকবে। ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ইসরাইলি নেতাদের মধ্যে চলতি সপ্তাহে বিতরণ করা প্রতিবেদনটির কথা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশ করেছে চ্যানেল ১২।
প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেছে আইডিএফ সামরিক গোয়েন্দাবাহিনীর গবেষণা শাখা। এতে বলা হয়েছে, গাজাবাসীর মধ্যে হামাসের ‘সত্যিকারের সমর্থন বহাল আছে।’
যুদ্ধের পর গাজার জন্য কোনো বাস্তব পরিকল্পনা না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাজা তখন গভীর সঙ্কটপূর্ণ’ একটি এলাকায় পরিণত হবে।
চ্যানেল ১২-এর অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলানা ডায়ান জানান, সোমবার ইসরাইলের রাজনেতিক নেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়। এর আগে ইসরাইলের সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা এটি পর্যালোচনা করেন। এমনকি শিন বেইত এবং জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলেল সদস্যরাও এটি পর্যালোচনা করেছেন।
চ্যানেল ১২ জানায়, প্রতিবেদনটির মূল কথা হলো, ‘ইসরাইলি বাহিনীর এই অভিযান সত্ত্বেও হামাস একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং একটি গেরিলা গ্রুপ হিসেবে টিকে থাকবে।’
ইলানা ডায়ান বলেন, এতে মনে হচ্ছে যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেমনটা আশা করছেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নিরঙ্কুশ বিজয় হবে না।
এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্রের অফিস।
উল্লেখ্য, ইসরাইলি কর্মকর্তারা বার বার বলছে, গাজায় তাদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করা। তবে অনেক দেশই বলছে, এমন উদ্দেশ্য হাসিল করা সম্ভব হবে না।
গত নভেম্বরে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, হামাসের হুমকি ইসরাইল ব্যাপকভাবে কমাতে পারলেও গ্রুপটিকে নির্মূল করা কিংবা আদর্শগতভাবে শেষ করা অসম্ভব।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের শেষ দিকে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, গাজার ৫৭ ভঅগ লোক মনে করে, ৭ অক্টোবরে ইসরাইলের ভেতরে হামাসের অভিযানটি ছিল যৌক্তিক। আর ৪২ ভাগ লোক সার্বিকভাবে হামাসকে সমর্থন করে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply