তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। রোববার (৭ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি। খবর আল জাজিরা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থের ওপর গুরুতর আঘাত। তাই অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকা বিএই ল্যান্ড অ্যান্ড আর্মমেন্টস, অ্যালায়েন্ট টেকসিস্টেম অপারেশনস, অ্যারোভাইরোনমেন্ট, ভিয়াসাত ও ডাটা লিংক সলুশনসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনে থাকা সেই পাঁচ কোম্পানির স্থাবর-অস্থাবরসহ সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও চীনে নিষিদ্ধ করা হবে। চীনের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিদের এসব কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন ও সহযোগিতা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চীন সবসময় তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে। তবে বেইজিংয়ের এ দাবি কোনো সময় মেনে নেয়নি তাইওয়ান সরকার। এই ইস্যুতে তাইওয়ানকেই জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে তাইপের ব্যাটল কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত অক্টোবরে উন্নত চিপ রপ্তানিতে চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে চীনের সামরিক বাহিনী উন্নতমানের মার্কিন চিপ আমদানির সুযোগ হারায় বেইজিং। সে সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ জানিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা বাজার অর্থনীতি ও ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতি লঙ্ঘন করেছে।
আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাইপের সন্দেহ, এ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারে চীন। তাই সামরিক ও রাজনৈতিক- উভয় দিক দিয়ে চরম সতর্কাবস্থায় রয়েছে তাইওয়ান।
Leave a Reply