1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

ব্যাখ্যা দিতে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা সচিব আপিল বিভাগে

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়েছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে ২০ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা বিভাগের সচিবকে তলব করেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় তারা হাজির হন। তাদের ছয় কারা কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এর আগে ২০ নভেম্বর আদালত অবমাননার অভিযোগে আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা বিভাগের সচিবকে তলব করেন আপিল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় তারা হাজির হন। ছয় কারা কর্মকর্তার পদোন্নতি সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

ওইদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ তলবের আদেশ দেন। তখন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল। বিবাদীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।

পদোন্নতি নিয়ে ছয় কারা কর্মকর্তার (জেল সুপার) করা পুনর্বিবেচনার আবেদনের ওপর গত বছরের ২২ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে ১৯৮৪ সালের অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ (ডিপার্টমেন্ট অব প্রিজন্স) রিক্রুটমেন্ট বিধিমালার আলোকে দ্রুত আবেদনকারীদের (ছয় জেল সুপার, চলতি দায়িত্ব) পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচনা করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়।

রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে পদোন্নতিপ্রত্যাশী মো: নুরুন্নবী ভূঁইয়াসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পৃথক পাঁচটি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।

ইব্রাহীম খলিল জানান, আদালত অবমাননার আবেদনগুলো ৬ নভেম্বর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। ওইদিন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী রায় বাস্তবায়নে দুই সপ্তাহ সময় নেন। সে অনুযায়ী ২০ নভেম্বর আবারো শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসে। শুনানিতে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির ১৬ নভেম্বরের এক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী।

ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, ছয় কর্মকর্তাকে ১৯৮৪ সালের নিয়োগবিধির আওতায় এ পর্যায়ে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতির রায় কেন বাস্তবায়িত হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ও কারা মহাপরিদর্শককে ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

আদালত সূত্র জানায়, আবেদনকারী ছয় কর্মকর্তা ২০০৮ সালে জেল সুপারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন। পদোন্নতির জন্য ২০১৬ সালে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বিফল হন। এ নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তাদের পক্ষে রায় পান। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল ট্রাইব্যুনালে গেলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com