রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে শাহিন উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক (সংসদ সদস্য) এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই সম্পূরক চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন নিহতের মা ও মামলার বাদী আকলিমা বেগম। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম বাদীর নারাজি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
মামলার আসামি এম এ আউয়ালসহ ১৬ জন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন তাহের, সুপন বেপারী, মুরাদ, টিটি শেখ ওরফে টিটু, গোলাম কিবরিয়া খান, ইব্রাহিম সুমন ওরফে বাওয়া সুমন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রকি তালুকদার ওরফে রকি, নুর মোহাম্মদ হাসান মোতাইত, ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল নুর, শরিফ, তৌরিকুল ইসলাম ওরফে ইমন, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন ও প্রতীক আহম্মেদ সজীব। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মনির হোসেন।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
মামলার এজাহারে আকলিমা বেগম বলেন, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টায় সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় শাহিন উদ্দিনের ৬ বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে নিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই শাহিনের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply