হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। এ রায়ের ফলে তাদের বিচারপতি পদে ফেরার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বুধবার সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে সাবেক এই দুই অতিরিক্ত বিচারপতি পুনরায় বিচারিক দায়িত্বে ফিরতে পারবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। তিনি বলেন, আবেদনকারীদের আপাতত বিচারিক পদে ফেরার সম্ভাবনা নেই। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
২০১২ সালের ১৩ জুন এ বিএম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে বিধি অনুযায়ী ২০১৪ সালে তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ দেওয়া হয় এবিএম আলতাফ হোসেনকে।
এরপর ২০১৪ সালে আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান এবং এবিএম আলতাফ হোসেন হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই দুটি রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এবিএম আলতাফ হোসেন। বুধবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
অন্যদিকে, বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে তাদের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মারা যান। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে অপর ৯ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি।
তবে তাদের মধ্যে বিচারপতি শিবলীকে বাদ দিয়ে বাকি আটজনকে ওই বছরই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তখন বাদ পড়া বিচারপতি শিবলী স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিচারপতি শিবলী।
Leave a Reply