বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোনোভাবেই যেন থামানো যাচ্ছে না প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস।
করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে অন্তত ১১১ দেশে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ মানুষ। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
এদিকে চীনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। নতুন করে ৭৯ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে সর্বমোট ৮০ হাজার ৭৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছে আর মারা গেছেন ৩ হাজার ১৫৮ জন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অবরুদ্ধ ইতালিতে একদিনেই ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩১ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ১৪৯ জন। এই হিসাবে মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, আর মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।
ইতালিতে করোনা পরিস্থিতি এখন আয়ত্ত্বের বাইরে চলে গেছে বলে মনে করছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্টি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে পুরো দেশজুড়েই এখন কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছেন। যারা এসব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করবেন, তাদের জেল-জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে বলে তিনি হুশিয়ারি করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালি জুড়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এরকম ব্যাপক ব্যাঘাত আর দেখা যায়নি।
করোনাভাইরাসে ইরানে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৫৪ জন মারা গেছেন। যা দেশে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এক দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহানপুর একটি টেলিভিশনে বলেন, ৮ হাজার ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃতের সংখ্যা ২৯১ এ উন্নীত হয়েছে। নতুন করে ৮৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
ফরাসি জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ফলে ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটেনে করোনভাইরাসে ছয় জন মারা গেছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ভাইরাসে সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৩৭৩ জনে পৌঁছেছে। যা আগের দিন থেকে ৩১৩ জন বেশি। চীনের মূল ভূখণ্ড বাদ দিলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি।
সূত্র : আলজাজিরা ও সিএনএন।
Leave a Reply