মানিকগঞ্জে সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফেরত আসা ৫৯ জনকে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১২ শয্যার করোনা আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় একটি বড় আয়তনের কক্ষে এই ইউনিট খোলা হয়েছে।
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার কেওয়ারজানী এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে নতুন ভবনে কোয়ারেন্টাইন ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় চারজন নারীসহ ৩২ জন, সাটুরিয়া উপজেলায় ১৮ জন, শিবালয়ে ছয়জন, দৌলতপুর উপজেলায় দু’জন ও সিংগাইরে এক ব্যক্তি মিলিয়ে মোট ৫৯ জন ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এদের সবাইকে নিজ বাসায় বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। বিদেশ ফেরতসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা এবং উপজেলায় তিনটি কমিটি করা হয়েছে। গত ৩ মার্চ জেলা ও উপজেলা মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয় কমিটি র্যাপিড রেসপন্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১ সদস্যবিশিষ্টি এই কমিটিতে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস সভাপতি ও সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে আসা এই কমিটির সদস্যদের প্রধান কাজ।
এ দিকে, ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটিও করা হয়েছে। এই কমিটিতে সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা: সাকিনা আনোয়ারকে প্রধান করা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো এই কমিটির প্রধান কাজ।
Leave a Reply