ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চীনা বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। তিন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ এবং প্রকাশ্যে অশ্লীল কাজ করায় স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বেইজিংয়ের একটি আদালত তাকে এই কারাদণ্ড দেন।
বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ডেট রেপ করার অভিযোগে ৩২ বছর বয়সী এই গায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার আগে আরও ২৪ জন নারী তার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
খবরে বলা হয়েছে, ধর্ষণসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উর বিরুদ্ধে। শুক্রবার বেইজিংয়ের চাওয়ং জেলার আদালত বলছে, তদন্তে দেখা গেছে-২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ৩২ বছর বয়সী উ তিনজন নারীকে ধর্ষণ করেছেন। উ তার বাড়িতে ওই তিন নারীর মাতাল হওয়ার সুযোগ নিয়ে তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
এসব অপরাধ বিবেচনায় সম্মিলিতভাবে ক্রিসকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই শাস্তি ভোগ করার পর তাকে প্রত্যাবাসন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, ক্রিস উকে অভিযুক্ত করা প্রথম ব্যক্তি ছিলেন ছাত্রী ডু মেইঝু, যিনি গত বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, তিনি উ এর সঙ্গে দুই বছর আগে দেখা করেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
ওই ছাত্রী বলেন, ‘তার বাড়িতে আয়োজিত এক পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে সে আমাকে মদ পান করার জন্য জোর করে। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি তার বেডে।’
এদিকে পপ তারকার বিরুদ্ধে আরও ২৪ জন নারী অভিযোগ করেছেন। যারা তার এমন আচরণের শিকার হয়েছেন। কেবল ধর্ষণ নয়, আদালত উ-এর বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো করে সেখানে অবাধ যৌনাচারের অপরাধেও দোষী সাব্যস্ত করেন।
এসব অপরাধ এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আদালত উ-কে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৬০ কোটি ইউয়ান জরিমানা আদায়েরও নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, উ ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৯ কোটি ইউয়ান কর ফাঁকি দিয়েছেন।
Leave a Reply