কাজের চাপ এবং মানসিক চাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুঁড়ি। আর শরীরের এই বাড়তি ওজন ঝরাতে শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং আরও কত কিছুই না আমরা মেনে চলি। তবুও অনেক সময় মনের মতো ফল মেলে না। তবে কফি খেলেও ওজন ঝরানো সম্ভব, সেটা কি জানেন?
অনেকেই দিনের শুরুটা করেন এক কাপ গরম কফি দিয়ে। সকালে কফির ডোজ আলস্য কাটাতে এবং শরীর চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। কারও দুধ-চিনি দিয়ে কফি পছন্দ, কেউ আবার চিনি ছাড়া এস্প্রেসো কফির ভক্ত। তবে ওজন ঝরানোর জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে যদি রাখেন বিশেষ কিছু কফি তবেই ওজন নিয়ন্ত্রন সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন ধরনের কফি পান করবেন-
লেবু দিয়ে কফি
লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড যা কফির সঙ্গে মিশে বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। তার প্রভাবে মেদও ঝরতে থাকে। দুধ-চিনি ছাড়া এক কাপ কালো কফিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তার মধ্যে ইচ্ছা হলে দেওয়া যায় সামান্য দারুচিনিও। রোজ এই পানীয়টি খেলে মেদ ঝরার সঙ্গে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
বুলেট কফি
এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে নিন এক টেবিল চামচ কফি। তবে কড়া কফি খেতে পছন্দ করলে পরিমাণ নিজের স্বাদ মতো বাড়িয়ে নিতে পারেন। তার পর সেই কফিতে মিশিয়ে দিন এক চা চামচ ঘি বা মাখন বা নারকেল তেল। ভালো করে নাড়িয়ে নিন কফি। পরিবেশন করুন একেবারে গরম গরম। প্রাতঃরাশে এই কফি খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকবে, বিপাক হার বাড়বে। ফলে ওজনও ঝরবে দ্রুত। যারা কিটো ডায়েট করেন, তাদের ডায়েটে এই কফি থাকে।
দারুচিনি দিয়ে কফি
দারুচিনিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ক্যাফিনের সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মিশে বিপাকীয় হার উন্নত করে এবং ওজন কমার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে সাহায্য করে। এক কাপ ব্ল্যাক কফিতে ১/৪ চা চামচ দারুচিনি এবং মধু মিশিয়ে পান করলেই কাজ হবে।
ডার্ক চকোলেট কফি
ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই দুই পদার্থ কফির সঙ্গে মিশলে বিপাক হার বাড়ে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই কফি খেলে অনেকক্ষণ পর্য়ন্ত পেট ভরা থাকে, আর ক্ষুধার অনুভূতি কমায়।
Leave a Reply