1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলার পরও এই রোগ ঠেকানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ইনসুলিন কিংবা অনেকগুলো ওষুধ নিত্যসঙ্গী ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের। কিন্তু এবার দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এলো সুখবর। বাজারে আসতে চলেছে ‘পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার।’

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ভারতের আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুই অধ্যাপক ও এক শিক্ষার্থী প্লাস্টিকের কন্টেনারে তৈরি করে ফেলেছেন ইনসুলিন কুলার। ইনসুলিন বহনের জন্য যা দীর্ঘ সফরে ব্যবহার করা সহজ হবে।

সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনরা ঘোর সংকটে পড়েন যখন ট্রেন, বাস, বিমান কিংবা গাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সফর করতে হয়। সফরকালে ইনসুলিনের প্রয়োজন পড়তেই পারে। কিন্তু কোথায় ইনসুলিন রাখবেন, তা ভেবেই মাথায় হাত পড়ে তাদের। রাস্তাঘাটে সর্বত্র ওষুধের দোকান এবং ইনসুলিন পাওয়াও সম্ভব নয়। তাই তাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে ‘পোর্টেবল ইনসুলিন কুলার’। নেপথ্যে আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিন গবেষকের মস্তিষ্কপ্রসূত কাজ।

কুলারটি দেখতে ছোট্ট  টিফিন বক্সের মতো। মাইক্রো কন্ট্রোলার সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এই যন্ত্রটি। ৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে যন্ত্রটি। সঙ্গে রয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এক ঘণ্টা চার্জ করলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা মেশিনটি সক্রিয় থাকবে৷ অর্থাৎ ইনসুলিনসহ অন্যান্য ওষুধ নিয়ে ১২ ঘণ্টা নিশ্চিন্তে সফর করতে পারবেন রোগীরা। ইনসুলিন কুলারটির ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মতো।

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক বিকাশ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের কলেজের অ্যাপ্লায়েড ইলেকট্রনিকস এবং ইনস্ট্রুমেনটেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ইন্দ্রজ্যোতি রানোর কনসেপ্ট ছিল এই প্রোজেক্টটি। আমাদের সহযোগিতায় সে একাই এই প্রোজেক্টটি সফল করে।’

জানা গেছে, গত বছরের প্রথম দিকে কলকাতার ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার, ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের ভাবনার প্রোজেক্টটি প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়। অবশেষে সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গেই ভাবনার বাস্তবরূপ দিতে দিনরাত এক করে কাজে লেগে পড়েন গবেষণারত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে ‘কুলিং পোর্টেবল ফ্রিজ’-এর কার্যকারিতা এবং উপকারিতা হাতেকলমে বুঝিয়ে চিকিৎসকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছাত্র-অধ্যাপকরা।

যন্ত্রটির উপকারিতা ও দাম

গবেষক বিকাশ মণ্ডল বলেন, ‘যন্ত্রটির দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকবে৷ সম্ভবত দাম হতে পারে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। ডিভাইসটির মধ্যে এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে যখনই কুলারের ঢাকনা খোলা হবে, তখনই এসএমএস চলে যাবে আগে থেকে সংযুক্ত নির্দিষ্ট মোবাইলের নম্বরে৷ যার মাধ্যমে রোগী ইনসুলিন নিয়েছেন কি না পরিবারের লোকের কাছে সেই বার্তাও পৌঁছে যাবে৷ পাশাপাশি অ্যালার্ম দেওয়ার ব্যবস্থাও পাওয়া যাবে৷ যে অ্যালার্ম রোগীকে বলে দেবে, ইনসুলিন নেওয়ার সময় হয়েছে এবার।’

আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে ইকোফ্রেন্ডলি। সেক্ষেত্রে যুগান্তকারী যন্ত্র হয়ে ওঠার গুণ রয়েছে ইনোভেটিভ পোর্টেবল ইনসুলিন কুলারের৷ ফলে পেটেন্টসহ ব্যবসায়িক দিকটি নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছি আমরা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com