সময় বাড়ার সাথে সাথেই বাড়ছে লাশের সংখ্যা। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করলেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
বলছিলাম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার হৃদয়বিদারক বিবরণ। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বিস্ফারণ ঘটা বি এম ডিপোর এক কর্মকর্তা নাম আবদুস সোবহান (৩১)। ঘটনার এক মিনিট আগেও আত্মীয়দের সাথে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিস্ফোরণের পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালে তার খোঁজে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিকটাত্মীয়।
এই নিকটাত্মীয়ের মতোই অনেকে ভিড় করছেন চমেক হাসপাতালে। কেই আসছেন লাশের খোঁজে আবার কেইবা তার প্রিয় মানুষটি এখনো জীবিত আছেন এই আশা নিয়ে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশেকুর রহমান বলেন, আরো রোগী হাসপাতালে আসছেন। তাদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসকর্মী এবং সাধারণ মানুষও আছেন। আহতের সংখ্যা আরো বাড়ছে।
আগুন লাগার ১১ ঘণ্টা পার হলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরই আবার বিস্ফোরণ হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। আগুন নেভানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণ যেভাবে হচ্ছিল তাতে ভেতরে থাকা সম্ভব ছিল না। আগুন কতক্ষণে নেভাতে পারব, এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কেমিকেল কন্টেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
Leave a Reply