জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হলের পাঁচ তলার ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে পিছলে পড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাসের কক্ষে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গেছে। সুইসাইড নোটটির সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে, খবর পেয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অমিতের কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং তিনি ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘সুইসাইড নোটটির লেখা অমিতের নিজের হাতের কিনা সেই সত্যতা যাচাই করতে তার দুটি খাতা এবং আরও তথ্য জানতে তার দুটি মোবাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তদন্তের সুবিধার জন্য কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহীদ রফিক-জব্বার হলের এক আবাসিক ছাত্র বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে অমিত মারা গেলে রুমমেট এবং কয়েকজন সহপাঠী অমিতের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিতে তার কক্ষে আসেন। এ সময় অমিতের মোবাইল খুঁজতে গিয়ে তার বালিশের নিচে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।’
সেই সুইসাইড নোটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা-বাবা, ছোট বোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। অমিত।’
আলামত সংগ্রহের পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা একটি সুইসাইড নোট, মোবাইল, খাতা সংগ্রহ করেছি। খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে শহীদ রফিক-জব্বার হলের রফিক ব্লকের পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন অমিত। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান।
Leave a Reply