1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

পণ্যের উচ্চমূল্য: বৈশ্বিক অস্থিরতা ও সিন্ডিকেট

তন্ময় চৌধুরী
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যখন অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায় তখন সেটি ‘জাতীয় সমস্যায়’ রূপ নেয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ট্রাক সেলিং পয়েন্টগুলোতে (অস্থায়ী ভর্তুকিযুক্ত বিক্রয় পয়েন্ট) সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গরিব ও মধ্য-আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে হিমশিম খাওয়ার ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি এখন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। কেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি? বাংলাদেশ কি সিন্ডিকেটেড রাজনীতির প্রভাবে একচেটিয়াভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে? নাকি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তা হচ্ছে? এটি কি বৈশ্বিক পণ্যমূল্যবৃদ্ধির ফল?

নব্বইয়ের দশক থেকে সোভিয়েত রাশিয়ার পতন, আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, একক রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিগুলো আন্তঃসংযুক্ততার দ্বারা বিশ্ব অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই বিশ্বায়ন রাষ্ট্রগুলোর মাঝে আন্তঃসংযুক্ততা তৈরি করেছে একই সাথে কিছু অর্থনৈতিক দুর্বলতাও ছড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে, একটি ছোট এবং অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তন পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে পারে এবং পুরো বিশ্বকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ১৯৯৪ সালের মেক্সিকান পেসো সঙ্কট, ১৯৯৭-৯৮ সালের এশীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয় কিংবা ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কট এবং সারা বিশ্বে এর প্রভাব এই ধরনের দাবির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

বর্তমান অস্থিতিশীল দ্রব্যমূল্যের সূচনা ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সয়াবিন তেলের বৃহত্তম রফতানিকারক এবং চীন বৃহত্তম আমদানিকারক। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনা সয়াবিনের আমদানি অন্তত ৩৫-৪০ শতাংশ কমেছে। এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ও বিলম্বের কারণে বিশ্ববাজারে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সয়াবিনের দাম। বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য পণ্যের দামেও। পরবর্তীতে, মহামারীর আগমন এবং সরবরাহে বাধা বিশ্বজুড়ে সঙ্কটকে আরো ঘনীভূত করে তোলে।

অন্যদিকে, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি, মহামারী ঠেকাতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, লকডাউনে উৎপাদনশীলতা হ্রাস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে বিশ্বজুড়ে সরকারগুলো ঋণসঙ্কটে নিপতিত হচ্ছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা হচ্ছে সঙ্কুুচিত। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও মহামারীর প্রভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে, আর্থসামাজিক স্থিতিস্থাপকতা কমছে এবং বাড়ছে অর্থনৈতিক দুর্বলতা। ইউরোজোনে সঞ্চয়ের হারও কমছে উল্লেøখযোগ্য হারে। ২০২০ সালে যেখানে ২০ শতাংশ হারে সঞ্চয় প্রবণতা ছিল, ২০২১ সালে তা স্মরণকালের সর্বনি¤œ ১৪.৫ শতাংশে নেমে গেছে। মহামারী চলাকালীন, মূল্যস্ফীতিও ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্কটের পর থেকে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪.১ শতাংশে পৌঁছেছে। গত দুই বছরে ইউরোপের অর্থনীতিতেও পণ্যের দাম বেড়েছে আনুপাতিক হারে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি ও কাঁচামালের দামও নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। ২০২১ সাল থেকে লোহার দাম ২৪৩ শতাংশ বেড়েছে, ইস্পাত এবং লিথিয়ামের দাম যথাক্রমে ২৫০ শতাংশ এবং ৯৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যের দামই দ্রুত বেড়েছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইউক্রেন সঙ্কট বিশ্ববাজারে আরো প্রভাব ফেলেছে সরবরাহ ব্যাহত হওয়া ও উৎপাদনের অস্থিতিশীলতার কারণে। অপরিশোধিত তেলের দাম ইতোমধ্যেই ব্যারেলপ্রতি ১১০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। গম এবং সূর্যমুখীসহ অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়বে কারণ এই অঞ্চলটি বিশ্বব্যাপী চাহিদার ৩০ শতাংশ গম এবং ৯০ শতাংশ সূর্যমুখী সরবরাহ করে। গত ১৪ এপ্রিল পর্তুগালের ভোক্তা অধিকার রক্ষা অ্যাসোসিয়েশন ডেকো প্রেটেস্ট তাদের সমীক্ষায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চিত্র প্রকাশ করতে গিয়ে দেখায় পর্তুগালের বাজারে ইউক্রেন সঙ্কট শুরুর পর থেকে অন্তত সাত দফায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য রফতানি ব্যাহত হওয়ায় মার্চ মাসে বিশ্বে খাবারের উচ্চমূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিশ্ববাজারে সব খাদ্যপণ্যের দাম ৩২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

বাণিজ্যযুদ্ধ, মহামারী ও সর্বশেষ রুশ আক্রমণের ফলে মূল্যবৃদ্ধি একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি শুধু ইইউ বা বাংলাদেশের জন্যই খারাপ হচ্ছে না। তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য অংশও ভুগছে। পার্থক্য হচ্ছে কেউ এই সমস্যায় বেশি জর্জরিত আর কেউ কিছু কম। গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলছে, প্রধানত করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব, ইউক্রেন যুদ্ধ, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। আর এসবের ব্যাপক প্রভাবে গরম হয়ে গেছে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজার।

করোনা আর যুদ্ধের প্রভাবে উন্নত বা গরিব কোনো দেশই এখন আর উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাইরে নেই। কোভিডে নাগরিকদের বড় ধরনের প্রণোদনা দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৭ শতাংশে ঠেকেছে। আর ব্রিটেনে জ্বালানি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিক্ষোভও করেছে মানুষ। ইউরোজোনে যে ১৯টি দেশে ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা হয় সেসব দেশে এই জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ শতাংশের বেশি, যা ২৩ বছর আগে ইউরো চালুর পর সর্বোচ্চ।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে- স্থানীয় বাজারে কেরোসিন, ডিজেলসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং কোভিডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেয়ার কারণে। প্রশ্ন হচ্ছে বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিই কি বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একমাত্র কারণ?

সিন্ডিকেটেড রাজনীতি
দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত অগ্রসরমান দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি অনেক দিন ধরেই টালমাটাল। ঋণের বোঝায় জর্জরিত দেশটি নিজেকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করেছে। গভীর সঙ্কট হাতছানি দিচ্ছে এ অঞ্চলের আরেক দেশ নেপালকেও। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে সরকার নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তবে সে রকম সঙ্কটে না পড়লেও বাংলাদেশের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতিতে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি আড়তদার ও সিন্ডিকেটের অধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্য গুদামজাতকরণ এবং দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। বিশেষ করে রমজান আসার আগে আগে দেখা যায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সক্রিয় হতে।

বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে দাম যতটুকু বাড়ার কথা দেশে, বাড়ে তার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য যখন কমে আসে তখনই পণ্য বেশি দামেই কিনতে হয় ‘বাড়তি’ দামের অজুহাতে। সাম্প্রতিককালে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে চলছে তেলেসমাতি। বরাবরের মতো তেল উৎপাদনকারী এবং বড় বড় ডিলার এর পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে। তবে এটি স্পষ্ট সিন্ডিকেটেড কারসাজি এ মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক। নিয়মিত বিরতিতে এ দেশের বাজারে কারসাজি চলে, পণ্যটা পাল্টে যায় শুধু। কখনো চাল, কখনো পেঁয়াজ, চিনি, তেল এমনকি কাঁচামরিচের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ খাওয়ার স্মৃতি এ দেশের মানুষের মনে এখনো তরতাজা।

জিনিসপত্রের দাম যে সবসময় বাড়েই তা নয়, কমে এমনকি মূল্যহীনও হয়ে পড়ে। পিচঢালা রাস্তায় আলু, টমেটো কিংবা সবজি ফেলে দিয়েছে কৃষক ন্যূনতম দামের অভাবে। গত কয়েকটি ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়াকে প্রায় মূল্যহীন হয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেকে গরু অথবা ছাগলের চামড়া নামমাত্র মূল্যে বিক্রি না করে সেটি ফেলে দিয়েছে। দাম কমে ফসলের মৌসুমে যখন ফসল ওঠে। কৃষক হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে লাভ করা দূরে থাকুক, বহু সময় উঠিয়ে নিতে পারে না তার ধান, আলু কিংবা সবজি আবাদের খরচটুকুও। অর্থাৎ যেসব জিনিসের দাম বাড়লে দেশের হাতেগোনা কিছু মানুষের লাভ হবে, অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়তে দেখা গেছে সেগুলোর। আবার উল্টোদিকে যেসব জিনিসের দাম কমলে বিরাট লাভবান হবে সেই হাতেগোনা কিছু মানুষ, সেগুলোর দাম পড়ে যাবে একেবারেই। এই সিন্ডিকেটের রাজনীতি আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে বাজার হয়ে ওঠে অস্থিতিশীল।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক ও ইউক্রেন সঙ্কটকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। বাজারে কোনো কিছুর ঘাটতি নেই, তারপরও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে আইন অনুযায়ী তাকে জেল-জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভোগ্যপণ্য বাজার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা একান্ত জরুরি।

সমাধান কোথায়?
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এবং মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতি প্রধান কারণ তবে একমাত্র নয়। কর্তৃপক্ষ সমস্যার পেছনে স্থানীয় কারণগুলোকেও প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব, দুর্বল প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অর্থনীতির করপোরেটাইজেশন এবং সিন্ডিকেটেড রাজনীতিও মূল্যস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির কারণ। বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে মূল্যস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধি শুধু সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। যেহেতু যুদ্ধ এড়ানো একটি স্থিতিশীল সরবরাহের পূর্বশর্ত, তাই পেশিশক্তির পরিবর্তে কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।

সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য, বিকল্প আমদানি গন্তব্য খুঁজতে ও আমদানি কর কমাতে হবে। সরকারকে অবশ্যই বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই দেশীয় কারণগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য একটি সতর্ক ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের উচিত পণ্যবাজার স্থিতিশীল রাখতে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন এবং সমন্বয় সাধন করা এবং সর্বোপরি, আধিপত্যবাদী প্রতিদ্বন্দ্বীদের স্বীকার করা উচিত তাদের কর্মের প্রভাব পড়ছে বিশ্বের সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে।

লেখক : শরণার্থী, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com