নোয়াখালীর চাটখিলে পাঁচ বছরের চাচাতো বোন আছমা আক্তারকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হত্যার পর ধর্ষণ করেছে ভাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি মো. শাহাদাত হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে চাটখিল থানার পুলিশ।
রোববার সকালে নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা গ্রামের মৃধা বাড়ির মো. বাবুলের ছেলে শাহাদাত হোসেন গত ২৪ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আছমা আক্তারকে (৫) শাহাদাত অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে হত্যা করে ধর্ষণের পর লাশ টয়লেটের ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখে।
এদিকে আছমাকে অনেক খোঁজা খুঁজির পর ও না পেয়ে তার বাবা গত ২৫ মার্চ চাটখিল থানার একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে ১ এপ্রিল দিবাগত রাতে নিহত শিশুর চাচাতো ভাই শাহাদাতকে সন্দেহজনক ভাবে গ্রেফতার করে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার দেয়া তথ্য মতে ঘটনার ১০ দিন পর গতকাল শনিবার ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে নিহতের বাড়ির একটি ট্যাংক থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত আসামি শিশু আছমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রথমে হত্যা করে তারপর তাকে ধর্ষণ করে লাশ বাড়ির ট্যাংকে ফেলে দেয়।
তিনি আরো বলেন, নিখোঁজ শিশুর বাবা এ ঘটনায় চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামির দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, নির্বিঘ্নে ধর্ষণ করতে অভিযুক্ত আসামি প্রথমে শিশুকে হত্যা এবং তারপর ধর্ষণ করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়।
Leave a Reply