মহামারীর কারণে দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন এক শিক্ষক।
নারায়ণগঞ্জ সদরের চর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া আক্তারের পক্ষে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ নোটিশ পাঠান।
এ বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে সব শিক্ষকের পক্ষে সহকারী শিক্ষক তানিয়া আক্তার এ নোটিশ দিয়েছেন।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন), উপ-পরিচালক, সব বিভাগীয় কার্যালয় এবং সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ৭২ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলির জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-২০১৯’ প্রণয়ন করেছে।
এই নির্দেশিকার ধারা ১.১ এ সাধারণভাবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসে মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও যে কোনো উপজেলা/জেলা থেকে সিটি করপোরেশনে বদলি করার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সারাদেশের শিক্ষকরা। বিশেষ করে নারী শিক্ষকরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যদিও সরকারি অন্যান্য দপ্তরে যথারীতি বদলি কার্যক্রম চালু রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত)-২০১৯’ অনুযায়ী আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বদলি কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এ সময়ে মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি বন্ধ করে নির্দেশনা জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণজনিত কারণে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষকদের সকল প্রকার বদলি বন্ধ রাখা সমীচীন।
Leave a Reply