চট্টগ্রামের রাউজানে জয় বড়ুয়া (২৬) ও অন্বেষা চৌধুরী আশা (২০) নামে দুই তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুহামুনি বড়ুয়া পাড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, জয় অন্বেষার গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে পরে নিজে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত কলেজছাত্রী অন্বেষা চৌধুরী পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহামুনি গ্রামের উদয়ন চৌধুরী বাড়ির ওষুধ ব্যবসায়ী রণজিৎ চৌধুরীর মেয়ে এবং নোয়াপাড়া কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিন বোনের মধ্যে অন্বেষা সবার বড়।
আর নিহত জয় বড়ুয়া একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবান দারগার বাড়ির চা দোকানি নিলেন্দু বড়ুয়ার ছেলে। তিনি এক ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানিয়েছে, অন্বেষার বিয়ে ঠিক হয়েছিল এক প্রবাসীর সঙ্গে। আগামী ১০ মার্চ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া গ্রামের ওই প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
নিহত অন্বেষার বাবা রণজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় টিউশনি করতে বের হয়েছিল। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে আমি আঁচ করতে পারি নাই। কেউ আমাকে জানায়নি। পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক করেছি, ১০ তারিখ বিয়ে। কেনাকাটা নিজে করছিল মাকে নিয়ে। ’
এদিকে, নিহত জয় বড়ুয়ার বাবা নিলেন্দু বড়ুয়া বলেন, ‘আমার ছেলে আমাকে চায়ের দোকানে সহযোগিতা করতো। রোববার সন্ধ্যার দিকে মন্দিরে যাওয়ার কথা বলে দোকান থেকে বের হয়েছিল। এ কি হয়ে গেল? ১ মার্চ একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, একটি পরিত্যক্ত বসতঘর থেকে ওই তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীর গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল, একটি ছুরিও পাওয়া গেছে। তরুণের মরদেহ ঝুলছিল ফাঁসিতে।
ওসি বলেন, দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর বিয়ের সংবাদ শুনে তাকে হত্যা করে তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply