চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমণ হার দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৪ জন। আক্রান্তের হার ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার পাঠানো রিপোর্টে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগে কম সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় দুই মাস আগে গত ২৭ ডিসেম্বর। ওইদিন ১ হাজার ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্তের হার ছিল ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর সাতটি ল্যাবে গতকাল শনিবার ১ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২ জন ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্ত দু’জনের একজন করে হাটহাজারী ও পটিয়ার। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭১ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯১ হাজার ৯০৪ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৬৭ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ২ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৪ টি নমুনায় শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৭৫ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩৫৮টি নমুনার মধ্যে একটিতেও করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলেনি। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪১ নমুনায় শহরের একজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ০ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১৯, আরটিআরএলে ২৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ১ দশমিক ২৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ দশমিক ৬৬, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ দশমিক ৪৪ এবং মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply