ইভিএম নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অন্তত সাতটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ভোটগ্রহণে ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী ফজলুল হক মডেল হাইস্কুল, এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়, সফর আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
আদমজীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, ‘এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৯৮ জন ভোটার রয়েছেন। মেশিন চালু হতে একটু সময় লেগেছিল। এখন চালু হয়েছে। আশা করছি, ভোট নিতে আর দেরি হবে না।’
অন্যদিকে, হাজী ফজলুল হক মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে এক ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমার আঙুলের ছাপ না মেলায় ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরপরও ছাপ না মেলায় আমাকে পরে আসতে বলা হয়েছে।’
সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রতি বুথে গড়ে ৪০ ভোট পড়ছে যেখানে গড়ে ৪০০ ভোট পড়ার কথা। অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট নিতে দেরি হচ্ছে।
এই কেন্দ্রের এক পোলিং এজেন্ট বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ মেলাতে ইভিএমে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তিনবার করে ছাপ নিতে হচ্ছে।
তবে রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান জানান, কোনো ইভিএমে সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক তা সমাধান করা হচ্ছে।
Leave a Reply