বহু পুরনো সংগঠন হলেও ব্যবসায়ীদের প্রকৃত স্বার্থে কিংবা ক্রেতা-সাধারণের কল্যাণে তেমন কোন অবদান অথবা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি জেবিবিএ (জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন)। এমন অভিযোগের মধ্যেই ভোটের ময়দান সরগরম হয়ে উঠেছে নতুন নির্বাচন ঘিরে। প্রার্থীরা চমক দেয়ার অঙ্গিকার করছেন।
জেবিবিএর নির্বাচন ৯ জানুয়ারি নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত হবে। ৪২১ ভোটার এতে অংশ নেবেন। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৫ আসনে লড়ছেন সরাসরি দুই প্যানেলের ৩০ প্রার্থী। এক প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন গিয়াস আহমেদ এবং তারেক হাসান খান, অপর প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহবুবুর রহমান টুকু এবং মুনির হোসেন। অর্থাৎ ব্যবসায়ীদের এই সংস্থার নেতৃত্ব পেতে এবারই প্রতিযোগিতামূলকভাবে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন অনেকে। তাই সকলে হিসাব কষছেন দুর্নীতিবাজদের এড়িয়ে ভালো নেতৃত্ব অধিষ্ঠিত করতে।
এবারের দুই প্যানেলের দুই সভাপতি প্রার্থী জ্যাকসন হাইটসকে গার্বেজ মুক্ত, পার্কিং ঝামেলা মুক্ত করার অঙ্গিকার করেছেন। জেবিবিএর নিজস্ব ক্লিনার এবং সিকিউরিটি মোতায়েনের কথাও বলেছেন। স্থায়ী একটি অফিসের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। এমন অঙ্গিকার আগেও করা হয়েছিল। কেউই তা প্রতিপালনে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে শোনা যায়নি। শুধুমাত্র পথমেলা, বৈশাখী মেলা আর ইফতার মাহফিলকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনের পর বিজয়ীরা আন্তরিক অর্থে মূল সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সিটি কাউন্সিলম্যান, স্টেট এ্যাসেম্বলীম্যান আর স্টেট সিনেটরদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক। সে প্রত্যাশা পূরণে গিয়াস আহমেদ অথবা মাহবুবুর রহমান টুকু কতটা যোগ্য সেটিও ব্যালট যুদ্ধে বিবেচিত হবে। সাধারণ সদস্যরা আশা করছেন, জ্যাকসন হাইটসের স্বার্থে শুধু নয়, গোটা কমিউনিটির মান-মর্যাদার প্রশ্নে নেতৃত্বে এমন ব্যবসায়ীরা আসবেন যারা সত্যিকার অর্থেই ব্যবসায়ী এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি সঠিকভাবে হ্যান্ডেলের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ‘মোহাম্মদ গিয়াস -তারেক প্যানেলে’ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সহ -সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জিলানী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক এইচ খান, সহ সাধারণ সম্পাদক এমডি মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এস এম আবুল হাসান, অফিস সেক্রেটারি এমডি জি রহমান ( আকাশ রহমান), কালচারাল সেক্রেটারী জাফর উল্লাহ মিলন, পাবলিসিটি সেক্রেটারি বেলাল আহমদ এবং নির্বাহী সদস্য রকি আলিয়ান, বর্নালী হাসান এমডি, খালেদ আকতার, আব্দুল আলিম এবং এস কিউ আলম।
অপরদিকে ‘টুকু -মুনির প্যানেলে’র সভাপতি এমডি মাহবুবুর রহমান টুকু, সহ সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান আলী, সহ সভাপতি সুলতান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক এমডি এল ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি দেলওয়ার হোসেইন, কোষাধ্যক্ষ এমডি এস হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রাম কে সাহা (অপু), প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিন ভূঁইয়া, কালচারাল সম্পাদক শেখ এইচ আলী এবং নির্বাহী সদস্য পদে শামীম মনির, নজরুল আই মিয়া, জহিরুল ইসলাম জয়, মাসুদ আহমেদ এবং আব্দুল হাই।
Leave a Reply