সময়ের আলোচিত রোম্যান্টিক নায়কদের একজন হলেন কার্তিক আরিয়ান। যার চাউনিতে বহু মেয়ে ঘায়েল। সারা আলি খান, অনন্যা পাণ্ডেসহ একাধিক নায়িকা তো প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন; কার্তিককে দেখে তাদের মনে দোলা দেয়। শুধু নায়িকাই নয়, তিনি মন কেড়েছেন অসংখ্য নারী ভক্তদের।
বড় পর্দায় অভিষেকের স্বল্প দিনের মধ্যেই ‘লেডিস ম্যান’ নাম কুড়িয়েছেন বলিউডের এই হার্টথ্রোব। তবে যাবতীয় জল্পনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন কার্তিক। তার দাবি, হাসিখুশি বলেই তার সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় মেয়েদের। আর শুধু মেয়েরা কেন, ছেলেরাও তো তার সঙ্গে সহজেই মিশতে পারেন!
কিন্তু এসব অস্বীকার করলেই কী হয়ে যাবে। এটাতো সত্য ইতিমধ্যে একাধিক নায়িকার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে কার্তিক। সে তালিকায় নতুন নাম আলিয়ার। তবে আলিয়া ভাট নয় আলিয়া এফ। শশাঙ্ক ঘোষের ফিল্ম ‘ফ্রেডি’-তে কার্তিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পূজা বেদীর মেয়ে আলিয়া। এই রোম্যান্টিক থ্রিলার এখনো মুক্তি পায়নি। তবে তার আগেই ‘পেজ থ্রি’-র পাতায় উঠে এসেছে।
এসবের মধ্যেই উঠে আসে মজার একটি খবর। একটি ফিল্মের চুমুর দৃশ্য অভিনয়ে রীতিমতো খাবি খেয়েছিলেন কার্তিক। ক্যামেরার সামনে নায়িকাকে চুমু খেতে গিয়ে ৩৭ বার রি-টেক করেছিলেন।
ফিল্মের পর্দার জন্য আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করতে নাজেহাল হয়েছিলেন কার্তিক। কোন ফিল্ম সেটি? কার্তিক জানিয়েছেন, তা ছিল সুভাষ ঘাইয়ের শেষ ফিল্ম ‘কাঞ্চি: দি আনব্রেকেবল’। ২০১৪ সালের ওই ফিল্মে নায়িকা ছিলেন বাঙালি মেয়ে মিষ্টি। তার সঙ্গে একটি আবেগঘন চুমুতে কার্তিক একের পর এক ‘রি-টেক’ নিয়েছিলেন।
এমন নয় যে ফিল্মে নায়িকাদের সঙ্গে এর আগে চুমুর দৃশ্যে অভিনয় করেননি কার্তিক। ২০১১ সালে বলিউডে তার অভিষেক ফিল্ম ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’-তেই নায়িকা নুসরত বারুচাকে চুমু খেতে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।
তবে বাঙালি মেয়ে মিষ্টির সঙ্গে চুমুর দৃশ্যে এত নাজেহাল হলেন কেন? মজা করেই কার্তিক বলেছেন, ‘সব দায় মিষ্টির। হয়তো মিষ্টি ইচ্ছে করেই একের পর এক ভুল করে যাচ্ছিল। তাই টেকের পর টেক নিতে হচ্ছিল।’
মিষ্টির সঙ্গে চুমুর দৃশ্যের অভিজ্ঞতা নিয়ে কার্তিক বলেন, ‘সারা দিন আমরা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো আচরণ করেছিলাম। তবে দিনের শেষে সুভাষজি খুশি, আমরা ঠিকঠাক চুমু খেয়েছিলাম!’
Leave a Reply