বলিউডের ভাইজান খ্যাত সালমান খান। বিয়ে কেন করেন না; এমন প্রশ্নের পাশাপাশি এই সুপারস্টারের নানা রহস্য আজও অজানা। তেমনি এক রহস্য হচ্ছে তার ডান হাতে থাকা ব্রেসলেটকে ঘিরে। একমাত্র সিনেমার প্রয়োজন ছাড়া সেই ব্রেসলেটটি হাতছাড়া করেন না তিনি। দিনরাত নাকি তিনি সেটি পরেই থাকেন! কিন্তু কেন? এবার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এই অভিনেতা।
একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টের সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সালমান জানান, বাবার কাছ থেকে ব্রেসলেটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি। তার কথায়, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখেছি, সবসময় এ রকমই একটা ব্রেসলেট পরে থাকতেন বাবা। সে সময় ভাবতাম, ব্রেসলেট পরে বাবাকে কী ‘কুল’ই না লাগছে! বাচ্চারা যেমন সব কিছু নিয়ে খেলাধুলো করে, আমিও বাবার ব্রেসলেটটা নিয়ে খেলতাম।’
বাবার ব্রেসলেটটি পছন্দ হলেও ছোটবেলায় সেটি সালমানের হাতে আসেনি। তার জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভাইজান বলেন, ‘ছোটবেলায় ব্রেসলেট পরতাম না। তবে বলিউডে কাজ শুরুর করার পর বাবা আমাকে একেবারে নিজের ব্রেসলেটের মতো দেখতে একটি ব্রেসলেট উপহার দেন। সেই থেকে এটা আমার সঙ্গেই রয়েছে।’
নিজের ডান হাতের ব্রেসলেটটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন সালমান। বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘আমার ব্রেসলেটের মধ্যে এই যে পাথরটা দেখছেন, একে ফিরোজা বলে। এ ধরনের পাথর দুটিই রয়েছে। একটা হলো আকিক আর একটা ফিরোজা। এই ফিরোজাটি হলো নীলকান্ত মণি।’
ব্রেসলেটের পাথরটি নিয়ে একটি বদ্ধমূল ধারণাও রয়েছেন সালমানের। তার দাবি, ‘সমস্ত নেতিবাচক মনোভাব বুঝে নেয় ফিরোজা।’ পাশাপাশি আরও একটি দাবি করেছেন তিনি। বলিউডের সুপারস্টারের কথায়, ‘প্রত্যেক বার অশুভ কিছুর মুখোমুখি হলে তা বুঝতে পারে ফিরোজা।’
১৯৮৮ সালে জে কে বিহারির ফিল্ম ‘বিবি হো তো অ্যাইসি’-তে সহ-অভিনেতা হিসেবে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল সালমানের। তারপর বলিউডে ৩০ বছরেরও বেশি পার করে ফেলেছেন চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের ছেলে। এই কয়েক দশকে সালমান খান যে স্বয়ং একটি ‘ব্র্যান্ড’-এ পরিণত হয়েছেন, তা তার অতি বড় বিরোধীও মানবেন। ফলে সালমানের ফিল্ম তো বটেই, তার ব্যক্তিজীবনও আতশকাচের তলায়।
এমনকি তিনি কোনো পার্টিতে কী পোশাকে এলেন বা হেয়ারস্টাইল বদলালেন কি না, তা নিয়ে ‘পেজ থ্রি’-র পাতা জমজমাট থাকে। তবে সাল্লু মিয়ার ডান হাতের ব্রেসলেট নিয়ে দীর্ঘদিন বিশেষ কিছু জানা যায়নি।
Leave a Reply