চায়ের দোকানে বসে মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছিলেন জালাল মিয়া। এই ভোট চাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ালো তার। তাকে জঙ্গলে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলো প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় তার একটি পা ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। জালালকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আবুল কাশেম নামে এক সমর্থককেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় নয়াপাড়া বাজারে ঘটনাটি ঘটে। মেম্বার প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ও মো. নিজাম উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমান মেম্বার মিজানুর রহমানের সমর্থক।
জানা যায়, নির্বাচনের শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। সোমবার রাতে নয়াপাড়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে জালাল মিয়া মোরগ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের ১০/১২ জন সমর্থক জালালকে বাজার থেকে তুলে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মারধরে জালালের একটি পা ভেঙে যায়। মিজানের অপরকর্মী আবুল কাশেম তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত আবুল কাশেম জানান, জালাল উদ্দিন বাজারে বসে ভোট চাচ্ছিলেন। এজন্যই তাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় নিজাম উদ্দিনের সমর্থকরা। আমি তাকে রক্ষা করতে গেলে আমাকেও মারধর করে।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় নিজাম উদ্দিন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে। বাজার থেকে আমার সমর্থককে তুলে নিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে নিজাম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে প্রতিপক্ষরা এ ধরনের ঘটনা সাজাচ্ছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুই ব্যক্তি কীভাবে আহত হয়েছে বিষয়টি তার জানা নেই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. আল নোমান বলেন, ‘মারপিটের বিষয়ে মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply