নির্বাচন আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা। সংঘর্ষ এড়াতেই নির্বাচন বন্ধ, দাবি প্রশাসনের।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল লিবিয়ায়। বহু দিন পর গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে উৎসাহী ছিলেন লিবিয়ার মানুষ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ভেঙে দেয়া হয় ইলেকটোরাল কমিটি। যার থেকে স্পষ্ট, অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচন করানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
লিবিয়ায় এখন জাতিসঙ্ঘের মিশন কাজ করছে। মঙ্গলবার তারাই প্রথম একটি বিবৃতি পাঠায়। যাতে বলা হয়, এই সময় নির্বাচন হলে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিভিন্ন গোষ্ঠী মারমুখী হয়ে আছে। এরপরেই নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ৮০ জন প্রার্থীর লড়াই করার কথা ছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রার্থী হাইপ্রোফাইল। সকলেরই নিজস্ব গোষ্ঠী আছে। নির্বাচন ঘিরে সেই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষ শুরুও হয়ে গিয়েছিল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। একাধিক গোষ্ঠী, অসংখ্য দল ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই মধ্যে সেখানে কাজ করছে জাতিসঙ্ঘ। সব মিলিয়ে এক বেহাল অবস্থা।
জাতিসঙ্ঘের লিবিয়া বিশেষজ্ঞ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, লিবিয়ার ভোট নিয়েও যথেষ্ট সংশয় ছিল। কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন বিধি তৈরি হয়েছিল তাও স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয়, প্রার্থী বাতিলের প্রক্রিয়া। এই সবকটি বিষয়ই সংঘর্ষের কারণ হতে পারতো বলে তিনি মনে করেন।
লিবিয়ার মানুষ অবশ্য নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। একটি স্থায়ী সরকারের চাহিদা রয়েছে দেশে। কিন্তু এরপর আদৌ আর নির্বাচন হবে কিনা, মঙ্গলবার সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
Leave a Reply