মাদক মামলায় ২৭ দিন কারাভোগের পর গতকাল বুধবার সকালে মুক্ত হয়েই বনানীর বাসায় ফেরেন পরীমনি। সেখানে পৌঁছেই গণমাধ্যমকে জানান বাসাটি ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন পরী। তবে রাত ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে ফোন করে পরীমনি জানান, বিষয়টি নিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ‘ভুল’ বার্তা গেছে।
বাড়িওয়ালার পক্ষ নিয়ে পরীমনি বলেন, ‘আমার বাড়িওয়ালা আন্টি আমাকে কী পরিমাণ আদর করেন এবং সাপোর্ট দেন সবসময়, সেটা আসলে বলে বুঝানো যাবে না। আমি এই বাসায় আজীবন থাকলেও তিনি আমাকে বেরিয়ে যেতে বলবেন না। আমার তো মা নেই, আমি তাকে সেভাবেই দেখেছি সবসময়। কিন্তু বাসায় ঢুকেই যখন ছাড়ার কথাটি শুনলাম- তখন আমি আসলে হতাশ হয়ে পড়ি।’
পরী আরও বলেন, ‘পরে আমি বাড়িওয়ালা আন্টির সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারি আসল ঘটনা। উনারা আসলে আমাকে সে অর্থে বাসা ছাড়তে বলেননি। আন্টি আমাকে বললেন, গত এক মাস ধরে প্রতিদিন যেভাবে গণমাধ্যমকর্মী, মোবাইল হাতে ভক্ত, ইউটিউবার আর প্রশাসনের লোকরা এখানে ভিড় করছেন, তাতে করে বাড়ির অন্য সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য অনেক ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়াদের খানিক অভিযোগও রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তো অন্যদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।’
এর আগে বাসা ছাড়ার নোটিশ পেয়েছেন উল্লেখ করে পরীমনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি এখন বাসা পাবো কোথায়? থাকি বৃদ্ধ নানাকে নিয়ে। আমার তো আর কেউ নেই।’
বুধবার রাতে দুপক্ষই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে বাড়িওয়ালার কথাকে সঠিক উল্লেখ করে পরীমনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আন্টির এই কথাগুলো একদম সত্যি। আমি নিজেও সিকিওর না এই বাসাতে। কারণ, পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন এই বাসার ঠিকানা জানে। ফলে আজ হোক কাল হোক আমাকে ঠিকানাটা বদলাতেই হবে।’
নিজে এই বাসায় থাকার জন্য আর আগ্রহী নন। তবে এখনই সেটি ছাড়ছেন না বলে জানান পরীমনি। তিনি বলেন, ‘আমি এই বাসাটা হয় তো ছাড়ব, কারণ আমি নিজেও স্বস্তি ফিল করছি না। জানালা দিয়ে উঁকি দিলেই দেখি অসংখ্য অচেনা মানুষ মোবাইল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে এটা আমার জন্য খুবই বিপদজনক ও বিব্রতকর। আমার জন্য অন্য মানুষদের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট করতে পারি না। তাই তিন-চার মাস পর এই বাসাটা ছাড়ার পরিকল্পনা করছি। কারণ, এখানে থাকলে আমার এবং প্রতিবেশী- উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।’
Leave a Reply