ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসির আওতাভূক্ত কোরবানীর পশুর হাটগুলোর কোথাও কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট হাট বন্ধ করে দেয়া হবে।
রোববার ভাটারা (সাইদ নগর) এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাব নগর) ব্লক-ই, সেকশন-৩ এর ফাঁকা জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী পশুর হাট পরিদর্শনকালে মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএনসিসি এলাকায় স্থাপিত ১টি স্থায়ী ও ৮টি অস্থায়ী পশুর হাট সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং টীম কাজ করছে, এই কমিটিতে ১৩ জন কাউন্সিলর এবং ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত প্রত্যেকটি পশুর হাটেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ প্রতিপালনে ডিএনসিসির দাযিত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২ শত প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, ২ শত গেঞ্জী এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেয়া হয়েছে। ইজারাদারদের পক্ষ থেকেও সকল হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পর্যাপ্ত সংখ্যক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাসহ প্রায় ৮ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। জীবনের প্রয়োজনেই পশুর হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
মেয়র বলেন, হাটের পশুগুলো অনলাইনেও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কেউ হাটে না ঢুকেও অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে স্বশরীরে কোরবানীর পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১’র আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিজের পরিবারসহ শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে আমাদের সবাইকে সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
Leave a Reply