জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজের শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার মুক্তা। নির্দেশনা মোতাবেক গত চার দিন ধরে সকাল-বিকেল এমনকি রাতেও চেষ্টা করেও করোনার টিকা প্রাপ্তির নিবন্ধন করতে পারেননি তিনি। অথচ আজ সোমবার নিবন্ধনের শেষ দিন। তাই টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনেকটাই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তিনি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুধু মুক্তা একাই নন, তার মতো অনেক শিক্ষার্থীই যথাসময়ে টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি। তাই টিকা নেয়ার নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর দাবি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
এ দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে সময় বাড়ানোর দাবি আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষও বিষষটি নিয়ে সচেতনভাবেই ভাবছে। আজ-কালের মধ্যেই সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলেও সূত্র জানায়।
অবশ্য এর আগে গত মাসেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) জমা দেয়ার পর সম্প্রতি প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
শুধু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সার্ভার জটিলতায় টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও। অনেক শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না। তারা বলছেন, টিকার জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হলে ত্রুটি দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে দুঃখিত আপনি টিকার জন্য নির্বাচিত নন।
শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারদের বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টিকা সংক্রান্ত সুরক্ষা ডটকমে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
গত ৩১ মে পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠায়। যেসব আবাসিক শিক্ষার্থীর সঠিক এনআইডি নম্বরসহ তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে, তারাই কেবল সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে পারছেন। কিন্তু তালিকায় যেসব আবাসিক শিক্ষার্থীর সঠিক এনআইডি নম্বর পাঠানো হয়নি, তারা এখন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফয়জুল করিম নয়া দিগন্তকে জানান, আমরাও দেশের অনেক কলেজ থেকে অভিযোগ পাচ্ছি যে, সার্ভার জটিলতায় অনেক শিক্ষার্থী তাদের নাম টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ-কালের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত জানাবে। টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধনের জন্য সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply