ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) হলগুলোও বন্ধ থাকলেও কোনো কোনোটিতে কিছু ছাত্র অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাবির দুটি হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোন। গতকাল শনিবার মধ্যরাতের এ অভিযানে দুই হলের ছয়টি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে রাত ১টা পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে অভিযানে জহুরুল হক হল ও এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ, হল দুটির আবাসিক শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য এবং ডিএমপি রমনা জোনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক উপসম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসানসহ হলে অবস্থানরত কয়েক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী হল থেকে পালিয়ে যান। অনেক খুঁজেও এ অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। এরপর এসএম হলে অভিযান চালানো হলে সেখানেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নম্বর এবং এসএম হলের ২৫, ২৯ ও ৩৯ নম্বর কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও এসএম হলে অভিযান চালিয়েছি। দুই হলের তিনটি করে মোট ছয়টি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জহুরুল হক হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যান, তবে হলে তাদের উপস্থিতির আলামত পাওয়া গেছে, বাতি জ্বালানো ছিল। এসএম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বন্ধ হলে কীভাবে কেউ ঢুকে অবস্থান করছেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে হলের যেসব কক্ষে কারও অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।’
এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘অভিযানের সময় তার হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনটি কক্ষে উপস্থিতির আলামত পাওয়ায় কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কক্ষের বাতি জ্বালানো ছিল, সেই কক্ষগুলো তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে সিলগালা করে দেওয়া হবে। অভিযানের সময় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে হলে পাওয়া যায়। তিনি বিকেলে হলে ঢোকার ফটক তালাবদ্ধ থাকায় বের হতে পারেননি। সে জন্য তিনি হলেই ছিলেন। পরে তাকে বের করে দেওয়া হয়।’
Leave a Reply