সুদীর্ঘ সময় ধরে চলমান ফিলিস্তিনী সঙ্কটের ¯’ায়ী সমাধানে জরুরি ও নিষ্পত্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানালো জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ¯’ায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। আজ মধ্যপ্রাচ্য পরি¯ি’তি ও ফিলিস্তিনী প্রশ্নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আহুত এক যৌথ আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এ আহŸান জানান তিনি।
শিশু ও নারীসহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনী অসামরিক নাগরিকদের উপর দখলদার ইসরাইলের বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে পত্র দিয়েছেন মর্মে সাধারণ পরিষদকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লিখিত পত্র উদ্বৃত করে তিনি পুর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনী জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি বাংলাদেশের অবিসংবাদিত প্রতিশ্রæতির কথা পূনরুল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের ¯’ায়ী প্রতিনিধি অবিলম্বে ইসরাইলী আগ্রাসন বন্ধের আহŸান জানান এবং ধারাবাহিকভাবে এই অবিবেচনাপ্রসূত সহিংসতার প্রতি ধিক্কার জানান। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং ফিলিস্তিনী সমস্যার ব্যাপকভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কিছু অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সঙ্কটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধানে আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা; জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদকে তাদের চার্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করা; ‘কোনো ব্যব¯’া গ্রহণ না করার সংস্কৃতি’ থেকে বেরিয়ে আসা এবং সবধরণের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জাতিসংঘের রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ এতদসংশ্লিষ্ট সকল রেজুলেশন ইসরাইলকে পরিপালন করাতে বাধ্য করা। এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার দ্রæত বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সকল পক্ষের সাথে জাতিসংঘকে আরও নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আহŸান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। জরুরিভাবে ফিলিস্তিনী জনগণের মানবিক প্রয়োজনসমূহ মিটানোর প্রতি জোর দিয়ে ফিলিস্তিনী শরণার্থীদের সহায়তায় সৃষ্ট জাতিসংঘের রিলিফ ফান্ড (আনরুয়া) এর সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বরোপ করেন তিনি। আগ্রাসী ইসরাইলী বাহিনীর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন মধ্যপ্রাচ্যে ¯’ায়ী শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ।
একশোরও বেশি জাতিসংঘ সদস্যরাষ্ট্র দিনব্যাপী চলমান এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করে। সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছাড়াও এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি। বক্তাগণ ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনী সংঙ্কটের আশু সমাধানের আহŸান জানান।
Leave a Reply